দোহা থেকে খানিকটা দূরে অবস্থান আল জয়নব স্টেডিয়ামের। প্রায় ঘন্টা খানেকের ভ্রমণক্লান্তি দর্শকদের ভর করেনি। ক্যামেরুন-সার্বিয়া ম্যাচে ৬ গোল ভালোই উদযাপন করেছেন দর্শকরা। সোমবার ক্যামেরুন ও সার্বিয়া সমান তিন বার করে উদযাপন হয়েছে গ্যালারিতে।
ক্যামেরুনের জন্য বিশ্বকাপের মঞ্চে একটি পয়েন্ট অনেক আরাধ্যই। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম শক্তিশালী দেশটি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল দুই বিশ্বকাপেই টানা খেলেছিল। দুই বিশ্বকাপে টানা ৬ ম্যাচ হেরেছিল। এবারের বিশ্বকাপেও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু।
আজকের ম্যাচটি সার্বিয়া ও ক্যামেরুন উভয়ের জন্য টিকে থাকার লড়াই ছিল। ড্র হওয়ায় দুই দলেরই পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা খানিকটা রইল। ক্যামেরুনের জন্য ম্যাচটি ছিল বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার। সর্বশেষ ৮ ম্যাচেই হেরেছিল রজার মিলার দেশটি। এই ম্যাচে হারলে মেক্সিকোর টানা ৯ ম্যাচের হারের রেকর্ড হতো আফ্রিকার দেশটির।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ প্রতি আক্রমণ ছিল। ২৯ মিনিটে জিয়ান চার্লসের গোলে ক্যামেরুন লিড নেয়। ব্রাজিলকে প্রথমার্ধে রুখে দেয়া সার্বিয়া এই ম্যাচে দোর্দণ্ড প্রতাপে ফিরে আসে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে৷ ইনজুরির প্রথম মিনিটে পাভলোভিচের গোলে সার্বিয়া সমতা আনে। ছয় মিনিট ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে মিলকিভিচ গোল করলে জয়নব স্টেডিয়ামের গ্যালারি সার্বিয়ার উল্লাসে ভেঙে পড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৮ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-১ করেন মিত্রভিচ৷ ম্যাচটি যখন একপেশে হওয়ার কথা সেই মুহূর্তে ফিরে আসে ক্যামেরুন। ৬৩-৬৬ মিনিটে দুই গোল করে খেলায় সমতা আনে।
৬৩ মিনিটে ভিনসেণ্ট আবু বকর গোল করলেও সহকারী রেফারি অফ সাইডের পতাকা তোলেন। ভিডিও সহকারী রেফারি কিছুক্ষণ পর গোলের সিগনাল দেন। ক্যামেরুনের উল্লাস শুরু হয়। সেই উল্লাস শেষ হতে না হতেই ম্যাক্সিমের গোল। ম্যাচের স্কোরলাইন ৩-৩।
এরপর দুই দলই গোলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও ৬ মিনিট যোগ করা সময় ছিল। সেই সময় অবশ্য কোনো গোল হয়নি।