গাজিপুরে আওয়ামী ক্যাডারের হামলায় জুলাই অভুত্থ্যানের সহযোদ্ধা আবুল কাশেম নিহতের প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা ও মহানগর শাখা ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানান ছাত্ররা ।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ ফেব্রুয়ারি ) বিকেলে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে এসে সমাবেশ করেন,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা। এসময় রংপুর মহানগরের আহবায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহানগরের সদস্য সচিব রহমত আলী, জেলার আহবায়ক ইমরান আহমেদ, মহানগরের মুখ্য সংগঠক আলী হুসাইন সাইফ, মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার । বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তারা আরোও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের বাইরে থেকে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, এতে কোন লাভ হবে না। ছাত্র-জনতা শক্ত হাতে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে। গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামীদের এখনও আইনের আওতায় না আনার বিষয়টি প্রমাণ করে, তারা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আছে। প্রশাসনের মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদেরকে খুঁজে বের করে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করা হয়। দাবি আদায় না হলে বৃহৎ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে। এখন বাকি আওয়ামী লীগ, কারণ গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে দলটির নেতারা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র তারা বন্ধ করেনি। আবু সাঈদ-মুগ্ধদের স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যেকোনও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বাংলার ছাত্র-জনতা জেগে আছে এবং থাকবে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা ও মহানগর শাখা এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অবিলম্বে গাজিপুরে আওয়ামী ক্যাডারের সন্ত্রাসী হামলাম চালিয়ে জুলাই অভুত্থ্যানের সহযোদ্ধা আবুল কাশেমের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান তারা। একই সাথে ছাত্ররা আরোও দাবি জানান, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ও জুলাই অভুত্থানে ছাত্র-জনতার উপর নির্ঘ্নে গুলি করে হত্যা করে এই হত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।