স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ সপ্তাহ যাবৎ রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার, দামকুড়ার আলিমগঞ্জ মোড়ের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে (আমিনের ইট ভাটা পূর্ব দিকে), গোপালপুর মৌজার মাঠে তিন ফসলি বিঘায় বিঘা জমি গভীর ভাবে কেটে নষ্ট করে, একধিক ভেকু মেশিন দিয়ে খনন করে, এলাকার পুকুর ভরাট ও ইটভাটা গুলোতে মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা ব্যবসা করে চলেছে। আর সাথে নষ্ট করছে মাঠের আশেপাশের জমি ও সরকারি রাস্তা।
কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে বিক্রয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে মাঠে গেলে দেখা যাই ভূমি দস্যু মোস্তফা, শাহাদত ও হাসানে যৌথ বাহিনীর প্রায় ২৫-৩০ জন শ্রমিক ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ডোম ট্রাক, ট্রাক্টর ও লরির মাধ্যমে বহন করে এলাকার কয়েকটি ইটভাটা গুলোতে বিক্রি সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। আশেপাশের জমি মালিকরা জানাই যে, তাদেরকে এভাবে জমি গভীর মাটি কাটতে নিষেধ করলে, তারা ভয় ভীতি দেখায়।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং সোমবার, স্থায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংবাদকর্মীদের ২টি টিম মাটি কাটার স্থানে (মাঠে) গিয়ে তাদের সাথে মাটি কাটে নিয়ম-কানুন ও সচেতনতামূলক কথা বলতে গেলে শ্রমিকেরা জানায়, তারা সেখানে নেই। শ্রমিকদের মাধ্যমে ভূমি দস্যু মোস্তফাতার ছেলে শাহাদত ও হাসানের মোবাইল নং সংগ্রহ করা হয়।
সাংবাদিকরা মোস্তফা এর সাথে ফোনে কথা বলতে গেলে, সে বলে আমার জমির মাটি আমি কাটবো, তাতে আপনারা বলার কে। কিছু সময় পরে তার ছেলে শাহাদত- থেকে টিমের সাংবাদিককে বলে, আমার জমি আমি কাটবো, যেভাবে খুশি সেভাবে, আপনাদের অসুবিধা কি? সবার কাছে অনুমতি নেওয়া আছে। আর আপনারা এখই চলে যান বলে উচ্চ কণ্ঠস্বর কথা বলতে থাকে।
হাসান, এর সাথে টিমের এক সংবাদকর্মী কথা মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে, সে উঁচু কণ্ঠস্বরের সাংবাদিকের এলোমেলো কথা বলে ও খারাপ আচরণ করে। কিছু সময় পরে সাংবাদিক পরিচয়ধারী এক ব্যক্তির ফোন কল আসে, সে জানাই যে, হাসান আমার বন্ধু সে একজন শিবির কর্মী, এবং সে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, হাসান খুব ক্ষমতা ধারী, তার যা ইচ্ছে করুক।
তাই, উক্ত স্থানের মাটি কাটা বন্ধ করে, ভূমি দস্যুদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি ব্যবস্থা করে এলাকা ফসলি জমি ও জনপথ রক্ষার্থে, প্রশাসনের জরুরি নজরদারির জোর দাবি জানাচ্ছি।