ঢাকা ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপির সমাবেশেকে কেন্দ্র করে রাতের বেলায় অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, বিএনপির সমাবেশে যেন লোকসমাগম কম হয়, তার জন্য সরকার ইতোমধ্যে সারা দেশে মিথ্যা মামলা দেওয়া শুরু করেছে। সবচেয়ে বেশি গায়েবি মামলা দিচ্ছে। বিনা কারণে রাতের বেলায় অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 

সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

২২ আগস্ট থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ৯৬টি মামলা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব মামলায় ৪৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ৪ হাজার ৪১২ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। ১০ হাজার ৬৬৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করার কৌশল হিসেবে ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীর উত্তরে পাঁচটি মামলা এবং ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। দক্ষিণে নেতা নবীউল্লাহ নবীসহ ২৪৫ জনের নামে ১০টি মামলা করা হয়েছে। ঢাকা জেলার সাভারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুসহ ৩২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগে যেসব জায়গায় সমাবেশ হয়েছে সেখানেও মামলা করছে, এখন যেখানে সমাবেশ বাকি রয়েছে সেই বিভাগীয় শহরগুলোতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী সমস্যা সৃষ্টি করছে। আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে।

সরকার বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে গেছে এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে গোটা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো ম্যান্ডেট নেই। জনগণ যখন তাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে শুরু করেছে, তখন তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আবারও পুরোনো কায়দায় কায়দায় হয়রানি ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭টি বিভাগীয় সমাবেশ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের সব রকম বাধা-বিপত্তি, গ্রেপ্তার, হামলার মধ্য দিয়েও আমাদের সমাবেশগুলো সফল হয়েছে। সমাবেশগুলো শুধু জনসমাবেশ হয়ে থাকেনি, জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। নেতাকর্মীরা দুই থেকে তিন দিন আগেই সমাবেশস্থলে এসে মাঠে এবং ফুটপাতে থেকে সমাবেশ সফল করেছে।

চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার বিভিন্ন কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের আগের মতো দমনের কৌশল অবলম্বন করছে। নিজেরাই বোমা পুঁতে রেখে বিরোধী মতের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করছে, নিজেদের অফিস নিজেরাই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার পুরোনো প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ১০:২৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

বিএনপির সমাবেশেকে কেন্দ্র করে রাতের বেলায় অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, বিএনপির সমাবেশে যেন লোকসমাগম কম হয়, তার জন্য সরকার ইতোমধ্যে সারা দেশে মিথ্যা মামলা দেওয়া শুরু করেছে। সবচেয়ে বেশি গায়েবি মামলা দিচ্ছে। বিনা কারণে রাতের বেলায় অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 

সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

২২ আগস্ট থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ৯৬টি মামলা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব মামলায় ৪৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ৪ হাজার ৪১২ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। ১০ হাজার ৬৬৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করার কৌশল হিসেবে ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীর উত্তরে পাঁচটি মামলা এবং ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। দক্ষিণে নেতা নবীউল্লাহ নবীসহ ২৪৫ জনের নামে ১০টি মামলা করা হয়েছে। ঢাকা জেলার সাভারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুসহ ৩২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগে যেসব জায়গায় সমাবেশ হয়েছে সেখানেও মামলা করছে, এখন যেখানে সমাবেশ বাকি রয়েছে সেই বিভাগীয় শহরগুলোতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী সমস্যা সৃষ্টি করছে। আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে।

সরকার বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে গেছে এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে গোটা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো ম্যান্ডেট নেই। জনগণ যখন তাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে শুরু করেছে, তখন তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আবারও পুরোনো কায়দায় কায়দায় হয়রানি ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭টি বিভাগীয় সমাবেশ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের সব রকম বাধা-বিপত্তি, গ্রেপ্তার, হামলার মধ্য দিয়েও আমাদের সমাবেশগুলো সফল হয়েছে। সমাবেশগুলো শুধু জনসমাবেশ হয়ে থাকেনি, জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। নেতাকর্মীরা দুই থেকে তিন দিন আগেই সমাবেশস্থলে এসে মাঠে এবং ফুটপাতে থেকে সমাবেশ সফল করেছে।

চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার বিভিন্ন কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের আগের মতো দমনের কৌশল অবলম্বন করছে। নিজেরাই বোমা পুঁতে রেখে বিরোধী মতের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করছে, নিজেদের অফিস নিজেরাই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার পুরোনো প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।