দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও প্রকাশ্যে হামলায় এখন পর্যন্ত ২০ জুয়েলারি ব্যবসায়ী নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু ব্যবসায়ী। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুয়েলারি দোকানে চুরি ও প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে।
এসব ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি ও চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সোনা ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তার দাবিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস এর সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য ও দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলনসহ সাবেক সভাপতি দিলীপ রায় ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের সদস্য সচিব ইকবাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এনামুল হক খান দোলন জানান, বিভিন্ন হামলার শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত ২০ জুয়েলারি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বহু ব্যবসায়ী হামলার শিকার হয়েছেন, আহত হয়ে কেউ সারাজীবনের জন্য পঙ্গু, কেউ অর্ধেক পঙ্গু হয়েছেন। আবার অনেকে হামলায় কোনোমতে জীবন রক্ষা করে বেঁচে আছেন।
তিনি জানান, দেশব্যাপী জুয়েলারি শিল্পে চুরি, ডাকাতি ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা এবং চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুয়েলারি দোকানে চুরি ও প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনা বাড়ছে।
এসময় সম্প্রতি সময়ে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে হয়। পাশাপাশি এসব ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা এবং চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। একইসঙ্গে সারাদেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করারও দাবি জানায় সংগঠনটি।