আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সাপকে বিশ্বাস করা যায়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না। বিষধর সাপ নিয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্ক। দেশবাসীও সতর্ক। সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটি মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্যটা হলো দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা, গোলযোগ সৃষ্টি করা। দেশের মানুষ কেমন আছে, কেমন থাকবে, কেমন রাখার দরকার, সেই বিষয় তাদের মাথায় কোনো দিন ছিল না। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও ছিল না। তাদের বালকসুলভ আচরণ, এটি কোনো রাজনৈতিক দায়িত্বশীল আচরণ নয়। মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির আহবায়ক বলেন, তারা (বিএনপি) দশ লাখ লোক জমায়েত করবে এই কথাটি তারা চিৎকার করে বলেছে, তাদের অবশ্যই দশ লাখ লোক জমায়েত হতে পারে এমনতর জায়গা যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে এই বিএনপি জামায়াত এদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। বাস পুড়িয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। রেললাইন উপড়ে ফেলেছে, রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছে। কাজেই সাপকে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু বিএনপি জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না। তিনি বলেন, সম্মেলন নিয়ে আনন্দ উৎসবের কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের নেত্রী কঠোরভাবে বলেছেন, বৈশ্বিক এই সংকটে মধ্যে সমস্ত সম্মেলনগুলো অত্যন্ত সীমিত পরিসরে এবং স্বল্প খরচের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত করতে হবে। আমরা সেই নির্দেশনা অনুসরণ করে সব সম্মেলনগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য দৃঢ় ও সংকল্পবদ্ধ।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যখন বৈশ্বিক সংকট, অর্থনীতিক অবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য যখন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তখন বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল, তাদের দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন নেতা খালেদা জিয়া এবং তারেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির দেশের মানুষের প্রতি যদি কর্তব্যবোধ থাকে, মমত্ববোধ থাকে, তাহলে তাদের সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ছিল। পক্ষান্তরে দেখা যাচ্ছে, তারা আর কালবিলম্ব করতে চায় না।
যেভাবে হোক, যা কিছু করেই হোক তাদের দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে মুক্তি এবং দণ্ডপ্রাপ্ত লন্ডনে অবস্থানরত তারেককে দেশে ফিরে আনাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। এই দলটির দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ নেই। তারা অনেক পরিকল্পনা করছে দেশের ভেতর অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য। আগামী মাস বিজয়ের মাস। বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে দেশের জনগণ জাতীয় বিজয় দিবস অত্যন্ত উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করবে।
তিনি বলেন, যে উদ্যানে জাতির পিতা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনগুলো করার মধ্য দিয়ে আগামী দিনের পথ রচনা কবর। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমানসহ মঞ্চ ও সাজসজ্জা কমিটির সব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।