চীন তাইওয়ানকে তাদের অংশ হিসেবে দাবি করলেও ১৯৪৯ সাল থেকেই স্বাধীনতা চেয়ে আসছে বিচ্ছিন্ন এই প্রদেশ। সেই দাবি এখন সময়ের সঙ্গে আরও বেড়েছে। যে কারণে বিদেশি দেশগুলোর সহায়তা চেয়ে আসছে তাইওয়ান। আর সেই লক্ষ্য অর্জনে শনিবার প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে রওনা হবেন অঞ্চলটির নেতা উইলিয়াম লাই চিং।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুং আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, ‘আমরা বেইজিংকে আহ্বান জানাই দীর্ঘস্থায়ী অনুশীলন (বিদেশ ভ্রমণ করা তাইওয়ানের নেতা) বন্ধ করতে। অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোর ভান না করার জন্য। কেননা, সেটি হলে সামরিক মহড়ার মাধ্যমে আন্ত-প্রণালী সম্পর্ক অস্থিতিশীল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’
উইলিয়াম লাই সফর শুরু করার সময় হাওয়াই, গুয়ামের মার্কিন অঞ্চল দিয়ে ট্রানজিট করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। সফরে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, টুভালু এবং পালাউসহ দ্বীপরাষ্ট্রের তিনটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় মিত্র দেশ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে লাইয়ের। যেই সফরটি শেষ হবে ৬ ডিসেম্বর। তবে এই সফর নিয়ে চীন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, এমনটা ধরে নিয়ে আগে থেকেই এ অনুরোধ করেছে তাইওয়ান।
এমনটি ভাবনার কারণ, বেইজিং সর্বদা পূর্ববর্তী তাইওয়ানের নেতাদের বিদেশ ভ্রমণে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। কারণ বেইজিং লাইকে ‘বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসাবে বিবেচনা করে।
আরও কারণ আছে। কেননা, সম্প্রতি জো বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার আগে তাইওয়ানে ১৭টি অস্ত্রের চালান অনুমোদন করেছেন। যার মধ্যে MGM-140 আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (ATACMS) রয়েছে। যেই ক্ষেপণাস্ত্রটির রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটার।