ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

বিএনপির সমাবেশের চেয়ে জব্বারের বলী খেলায় বেশি মানুষ হয়”তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পলোগ্রাউন্ডের কোনায় যে একটা কমিউনিটি হল আছে ওখানে আগে ভ্যারাইটি শো হতো। সেই ভ্যারাইটি শোতে যে পরিমাণ মানুষ হতো তার চেয়ে একটু বেশি মানুষ হয়েছে বিএনপির সমাবেশে। চট্টগ্রামে জব্বারের বলী খেলায়ও বিএনপির সমাবেশের চেয়ে তিনগুণ বেশি মানুষ হয়।’

তিনি বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘট, সেটা তো প্রাইভেট অর্গানাইজেশন। সেখানে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, আওয়ামী লীগ সব দলের নেতা আছেন। সবাই মিলে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সমিতি। তারা সিদ্ধান্ত নেন তাদের নিজস্ব নানাবিধ কারণে। ’

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শনে যান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের জনসভায় লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে এখানে বিএনপি একটি সমাবেশ করেছিল। মাঠের তিন ভাগের এক ভাগ বাদ দিয়ে একটি মঞ্চ করেছিল। বাকি দুই ভাগের মধ্যেও অর্ধেক খালি ছিল। তারা যেভাবে বলেছিল, আসলে সেই রকম মানুষ হয়নি।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে তখন পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা সবাই আতঙ্কে থাকেন। কারণ অতীতে ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে বাস-ট্রাক পুড়িয়েছিল বিএনপি। বাস-ট্রাক ও জনগণের সম্পত্তির ওপর হামলা করেছিল তারা। সেজন্য মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকেন। সুতরাং এটার সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।’

‘বিএনপি সমাবেশ ডাকলে পরিবহন ধর্মঘটসহ সরকার বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে’- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমের মাধ্যমে মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আমাদের সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল তারা। আমাদের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে হামলা হয়েছিল, বোমা-গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। বিএনপির সমাবেশে আজকে পর্যন্ত কী একটি পটকাও ফুটেছে। সরকার সহযোগিতা ও নিরাপত্তা বিধান করছে বিধায় পটকাও ফুটেনি।’

এ সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা সভাপতি এম এ সালাম সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

বিএনপির সমাবেশের চেয়ে জব্বারের বলী খেলায় বেশি মানুষ হয়”তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ১২:০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পলোগ্রাউন্ডের কোনায় যে একটা কমিউনিটি হল আছে ওখানে আগে ভ্যারাইটি শো হতো। সেই ভ্যারাইটি শোতে যে পরিমাণ মানুষ হতো তার চেয়ে একটু বেশি মানুষ হয়েছে বিএনপির সমাবেশে। চট্টগ্রামে জব্বারের বলী খেলায়ও বিএনপির সমাবেশের চেয়ে তিনগুণ বেশি মানুষ হয়।’

তিনি বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘট, সেটা তো প্রাইভেট অর্গানাইজেশন। সেখানে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, আওয়ামী লীগ সব দলের নেতা আছেন। সবাই মিলে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সমিতি। তারা সিদ্ধান্ত নেন তাদের নিজস্ব নানাবিধ কারণে। ’

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শনে যান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের জনসভায় লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে এখানে বিএনপি একটি সমাবেশ করেছিল। মাঠের তিন ভাগের এক ভাগ বাদ দিয়ে একটি মঞ্চ করেছিল। বাকি দুই ভাগের মধ্যেও অর্ধেক খালি ছিল। তারা যেভাবে বলেছিল, আসলে সেই রকম মানুষ হয়নি।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে তখন পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা সবাই আতঙ্কে থাকেন। কারণ অতীতে ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে বাস-ট্রাক পুড়িয়েছিল বিএনপি। বাস-ট্রাক ও জনগণের সম্পত্তির ওপর হামলা করেছিল তারা। সেজন্য মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকেন। সুতরাং এটার সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।’

‘বিএনপি সমাবেশ ডাকলে পরিবহন ধর্মঘটসহ সরকার বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে’- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমের মাধ্যমে মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আমাদের সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল তারা। আমাদের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে হামলা হয়েছিল, বোমা-গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। বিএনপির সমাবেশে আজকে পর্যন্ত কী একটি পটকাও ফুটেছে। সরকার সহযোগিতা ও নিরাপত্তা বিধান করছে বিধায় পটকাও ফুটেনি।’

এ সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা সভাপতি এম এ সালাম সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।