পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরনের মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং গ্রামীন জনপদে টেকসই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পটুয়াখালীর শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার তুষার কান্তি মন্ডল, গলাচিপা জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মাইনুদ্দিন আহমেদ, সদর দপ্তরের ডিজিএম (কারিগরী) ইঞ্জিঃ মো. হাসানুল বান্না, কলাপাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম সজীব পাল, বাউফল জোনাল অফিসের ডিজিএম মজিবর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্যক্রমের শুরু থেকে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে নন-স্ট্যান্ডার্ড লাইন ও সাবস্টেশন তথা বিতরন ব্যবস্থা নির্মান করা হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে আরইবি সরাসরি কোন দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে নিম্নমানের মিটার, ট্রান্সফরমার, তার, ইন্সুলেটর, সেফটি টুলসসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্রয় ও সরবরাহ করে আসছে। নন-স্ট্যান্ডার্ড বিতরণ ব্যবস্থা ও নিম্নমানের মালামাল সরবরাহের কারনে সৃষ্ট বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে জনসাধারণ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তির মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে বিদ্যুৎ কর্মীদের। দুদর্শা ও মৃত্যু ঝুঁকি বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, আরইবি এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে অসংখ্য বৈষম্য বিদ্যমান। আরইবি তাদের নীতি প্রণয়নের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সমূহের উপর ৪৭ বছর ধরে অপশাসন চালিয়ে আসছে। দুর্নীতি, অনিয়ম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই পদোন্নতি স্থগিত, শাস্তিমূলক বদলি, সংযুক্তকরন, বরখাস্তসহ নানাভাবে হয়রানি ও অডিটের নামে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ স্বৈরাচারী প্রতিষ্ঠানের অপশাসন থেকে মুক্তির দাবী করেন বক্তারাসহ মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ।
মানববন্ধন শেষে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ( আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরনের দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার প্রধান এর বরাবরে জেলা প্রশাসকের কাছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পটুয়াখালীর প্রায় ৭ শতাধিক কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পক্ষে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কর্মকর্তা নেতৃবৃন্দ।