গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোজ শনিবার দুপুর দেড় টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার জেলা পরিষদ চত্বরে
ভোলা জেলা আমীর, মাষ্টার মোঃ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালীন সময় সারাদেশে ভোলার নিহত শহীদ মোট ৪৬ পরিবারের মাঝে নগদ প্রায় ১ কোটি টাকা তুলে দেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম।
এ সময় জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক এড.মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেন- সাধারণ মানুষ নয়, পুরো বাংলাদেশ- ই জেল হাজতে ছিল। কারন এই স্বৈরাচার হাসিনা কাউকেই ছাড় দিত না।
এখন স্বৈরাচার মুক্ত দেশ হয়েছে, তাই বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরি বৈষম্য দূর করতে হলে রাষ্ট্র ও সরকার পরিবর্তন হলে হবে না হৃদয় থেকে ও আদর্শ দিয়ে বৈষম্য দূর করতে হবে।
ইসলামি সমজা বিনির্মানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরী হলে সকল সেক্টরে বৈষম্য দূর হবে।
রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনা হবে কুরআনের বিধান দিয়ে।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামির নেতাকর্মীদের মত আর কারো এতো বেশি ক্ষতি করেনি স্বৈরাচার হাসিনা, জেল,জুলম,অত্যাচার নির্যাতন, গুম, খুন, পঙ্গু,এমনকি প্রত্যেক জেলায় জেলায় অফিসগুলোরও বন্ধ করে দিয়েছে হাসিনা সরকার।
এতো কিছুর পরও জামায়াতে ইসলামী কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি,করবেও না।
এই নেতা আগামী নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, দেশর সকল সেক্টরে সংস্থার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুন্দর ও জনগনের কাঙ্ক্ষিত
গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিন।
জাতি আপনাদের সাথে সব সময় আছে।
তিনি বর্তমান অন্তবর্তিনকালীন সরকারকে আন্দোলনে আহত ব্যাক্তিদের ভরণপোষণের ও সকল চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অনুরোধ করছেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর পক্ষ থেকে
ভোলা জেলার মোট ১০ থানায় ৪৬ জন দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে নিহত ব্যাক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে সবার মাঝে দুই দাগে প্রায় ১ কোটি টাকা তুলে দেন।
জামায়াত নেতা শহিদ পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দিয়ে বলেন, পৃথীবির ইতিহাসে বহু বিপ্লব হয়েছে, তবে বাংলাদেশর জুলাই ও আগষ্টের বিপ্লব হয়েছে নজিবীহিন বিপ্লব।
এই বিপ্লবকে ব্যর্থ করার জন্য অনেক অপচেষ্টা চলছে, সবাই নচাৎ হয়েছে। তারপরও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন, ভোলা জেলার মধ্যে জামায়াত ইসলামের সকল পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারী জনাব মোহম্মদ হারুনুর রশিদ, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারী অধ্যাপক জিয়াউল মোর্শেদ, জেলা সূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য জনাব আমিন হোসেন, জেলা সূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা জাকির হোসেন, ভোলা সদর উপজেলার আমির মাওলানা কামাল হোসেন, ভোলা সদর উপজেলার সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল গাফফার, ভোলা পৌরসভার সেক্রেটারী মোহাম্মদ রুহুল আমিন,ভোলা পৌরসভার সূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ আতাউর রহমান সহ বিভিন্ন থানা থেকে আগত জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীবৃন্দ।