কুমিল্লার বন্যাকবলিত মনোহরগঞ্জের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। পানি নামার জায়গা বন্ধ।ঐতিহ্যবাহী বেরুলা খালটি বেদখল হয়ে যাওয়ায় কয়েক উপজেলার বিস্তির্ন এলাকার বন্যার পানি নিস্কাশন ব্যাহত হয়েছে। বিগত দিনে খালটি বর্ষার পানি নিস্কাশনে বিশেষ ভূমিকা রাখলেও খালটি এখন এলাকাবাসীর বন্যায় পানিবন্দি থাকার প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। পানিবন্দি মানুষের দীর্ঘশ্বাস আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর সকালে নাথেরপেটুয়া বাজারে বেরুলা খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ সহ খালপুনঃ খননের দাবীতে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন করেছে উপজেলাবাসি। মানববন্ধন পথ প্রতিবাদ সভায় অবিলম্বে দীর্ঘদিন মনোরগঞ্জের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করতে বেরুলা খালটি দখলমুক্ত করে পুনখননের দাবী জানান সাধারণ মানুষ।
খালের ওপর প্রভাবশালীরা দেড় শতাধিক দোকান তুলেছেন। একের পর এক দখলের ফলে খালটি সংকুচিত হয়ে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। খালটি সরু ড্রেনে পরিণত হয়েছে।
বেরুলা খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার। ডাকাতিয়া নদীর কুমিল্লার লাকসামের দৌলতগঞ্জ বাজারের দক্ষিণাংশের ফতেপুর গ্রামে এর উৎসমুখ। মিশেছে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে গিয়ে ।