ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

অস্ট্রেলিয়ায় সাংবাদিকতায় অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নির্জন মোশাররফ

অস্ট্রেলিয়ায় সাংবাদিকতায় অবদান রেখে ‘অনার অব জার্নালিস্ট’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নির্জন মোশাররফ। সম্প্রতি সিডনিতে অনুষ্ঠিত এক আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে সিডনির স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা এ পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কারে বিবেচনায় রাখা হয় জন-বান্ধব সাংবাদিকতা, বস্তুনিষ্টতা ও  সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা।

সিডনির পেরিপার্কের স্থানীয় হল রুমে এক বর্ণিল আয়োজনে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। আয়োজনের নেপথ্যে কাজ করে স্থানীয় গণমাধ্যম নবধারা নিউজ।

গণমাধ্যটির দশবছর পূর্তির মাইলফলকে সাংবাদিকতাসহ আরও বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি কার্ল সালেহ, রাজ দত্ত, ডক্টর সাবরিন ফারুকী, ভাদ্রা উবায়বা, খলিল মাসুদসহ আরও অনেক গণ্যমান্য বাক্তিবর্গ। নবধারার কর্ণধার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে যোগদেন স্থানীয় মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও পেশাজীবী অভিবাসীরা।

নির্জন মোশাররফ বাস করেন ওয়ের্স্টান অস্ট্রেলিয়ার পার্থে। সাংবাদিকতায় আছে চৌদ্দ বছরের অভিজ্ঞতা। বর্তমানে কাজ করছেনও বাংলাভিশনে। তাছাড়া তিনি এবি নিউজ ইনন্টারন্যাশনালের চিফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োজিত আছ্নে। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া ক্লাবে। টিম লিডার (ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া) হিসেবে যুক্ত আছেন এমএলসি ইন্টারন্যাশনালে। লেখালেখি করছেন প্রবাসে থেকে। ‘ডার্ক চকলেট’ উপন্যাস দিয়ে লেখক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন। রোমান্টিক ঘরানার থ্রিলার উপন্যাসটি এবছর বাজরে এসেছে। প্রকাশ পেয়েছে আন্তজার্তিক ভাবেও। ঢাকা, সিডনি ও লন্ডনে আনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উন্মোচন হয় গ্রন্থটির। প্রকাশের অপেক্ষামান আছে আরো বেশ কয়েকটি থ্রিলার উপন্যাস।

নির্জন মোশাররফের পুরো নাম মোশাররফ হোসেন নির্জন। সাংবাদিকতার হাতে খড়ি দৈনিক ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয়ে। তারপর কাজ করেছেন আনন্দদিন, আমাদের অর্থনীতি, খাসখবর, বাংলানিউজ টোয়েন্টি ফোর ও ডিবিসি টেলিভিশনে। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তার সহধর্মনীও সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন দেশীয় সংবাদ ভিত্তিক টেলিভিশন ডিবিসিতে।

নির্জন মোশাররফ ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার তিতাস বিধৌত আখাউড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। রেলওয়ে স্কুল, ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যায়ন করে পাড়ি জমান সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে ইডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেন। সাংবাদিকতায় উচ্চ শিক্ষাসহ আছে বেশকিছু প্রফেশনাল কোর্স। পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতা ছাড়াও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজ্যভবনে ক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

তাছাড়াও আত্মপ্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তা হিসেবেও। বিনিয়োগ করেছেন নিজ দেশে। ফ্যাশন হাউস, সুপারশপসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের জন্য হাত বাড়িয়েছেন।

অবসরে বই পড়া, লেখালেখি করতে ভীষণ পছন্দ করেন তিনি। সুযোগ পেলেই ভ্রমণে বের হয়ে পড়েন; গড়ে তুলেন প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য, আর সেখান থেকে রসদ যোগান লেখালেখির।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

অস্ট্রেলিয়ায় সাংবাদিকতায় অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নির্জন মোশাররফ

আপডেট সময় ১১:০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

অস্ট্রেলিয়ায় সাংবাদিকতায় অবদান রেখে ‘অনার অব জার্নালিস্ট’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নির্জন মোশাররফ। সম্প্রতি সিডনিতে অনুষ্ঠিত এক আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে সিডনির স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা এ পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কারে বিবেচনায় রাখা হয় জন-বান্ধব সাংবাদিকতা, বস্তুনিষ্টতা ও  সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা।

সিডনির পেরিপার্কের স্থানীয় হল রুমে এক বর্ণিল আয়োজনে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। আয়োজনের নেপথ্যে কাজ করে স্থানীয় গণমাধ্যম নবধারা নিউজ।

গণমাধ্যটির দশবছর পূর্তির মাইলফলকে সাংবাদিকতাসহ আরও বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি কার্ল সালেহ, রাজ দত্ত, ডক্টর সাবরিন ফারুকী, ভাদ্রা উবায়বা, খলিল মাসুদসহ আরও অনেক গণ্যমান্য বাক্তিবর্গ। নবধারার কর্ণধার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে যোগদেন স্থানীয় মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও পেশাজীবী অভিবাসীরা।

নির্জন মোশাররফ বাস করেন ওয়ের্স্টান অস্ট্রেলিয়ার পার্থে। সাংবাদিকতায় আছে চৌদ্দ বছরের অভিজ্ঞতা। বর্তমানে কাজ করছেনও বাংলাভিশনে। তাছাড়া তিনি এবি নিউজ ইনন্টারন্যাশনালের চিফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োজিত আছ্নে। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া ক্লাবে। টিম লিডার (ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া) হিসেবে যুক্ত আছেন এমএলসি ইন্টারন্যাশনালে। লেখালেখি করছেন প্রবাসে থেকে। ‘ডার্ক চকলেট’ উপন্যাস দিয়ে লেখক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন। রোমান্টিক ঘরানার থ্রিলার উপন্যাসটি এবছর বাজরে এসেছে। প্রকাশ পেয়েছে আন্তজার্তিক ভাবেও। ঢাকা, সিডনি ও লন্ডনে আনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উন্মোচন হয় গ্রন্থটির। প্রকাশের অপেক্ষামান আছে আরো বেশ কয়েকটি থ্রিলার উপন্যাস।

নির্জন মোশাররফের পুরো নাম মোশাররফ হোসেন নির্জন। সাংবাদিকতার হাতে খড়ি দৈনিক ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয়ে। তারপর কাজ করেছেন আনন্দদিন, আমাদের অর্থনীতি, খাসখবর, বাংলানিউজ টোয়েন্টি ফোর ও ডিবিসি টেলিভিশনে। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তার সহধর্মনীও সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন দেশীয় সংবাদ ভিত্তিক টেলিভিশন ডিবিসিতে।

নির্জন মোশাররফ ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার তিতাস বিধৌত আখাউড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। রেলওয়ে স্কুল, ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যায়ন করে পাড়ি জমান সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে ইডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেন। সাংবাদিকতায় উচ্চ শিক্ষাসহ আছে বেশকিছু প্রফেশনাল কোর্স। পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতা ছাড়াও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজ্যভবনে ক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

তাছাড়াও আত্মপ্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তা হিসেবেও। বিনিয়োগ করেছেন নিজ দেশে। ফ্যাশন হাউস, সুপারশপসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের জন্য হাত বাড়িয়েছেন।

অবসরে বই পড়া, লেখালেখি করতে ভীষণ পছন্দ করেন তিনি। সুযোগ পেলেই ভ্রমণে বের হয়ে পড়েন; গড়ে তুলেন প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য, আর সেখান থেকে রসদ যোগান লেখালেখির।