ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশকে ২২৬৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জার্মানি দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন জামায়াত সেক্রেটারি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক বীজ রাখার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমান গুজবে কান দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি না করার আহবান জাবিতে ছাত্রদলের দুগ্রুপে উত্তেজনা, বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন, স্ত্রী প্রেমিকসহ ৩ জনের ফাঁসি নিটওয়্যার উদ্ভাবন ও সহযোগিতায় সিজিং ‘বাংলাদেশ নাইট’ ১১১ নারীকে ধর্ষণ–যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ধনকুবের ফায়েদ ইসকন ও আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

হত্যা ছাড়া সব মামলার আসামিকে অব্যাহতি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত হত্যা ছাড়া অন্য মামলার আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে হত্যা, ভাঙচুর, চুরি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২৯২টি মামলা হয়। এরমধ্যে ৬২টি হত্যা মামলা। এই ৬২টি ছাড়া বাকি ২৩০টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

এ বিষয়ে বিএনপির সহআইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ যুগান্তরকে বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে তাদের অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ। চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি প্রদান করেন আদালত।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, মামলার ঘটনার সঙ্গে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জড়িত না। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা অপরাধ করায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্ত অহেতুক ফেলে না রেখে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পক্ষে মত দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদের সন্ধানসহ নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া গেলে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলেও জানায় তদন্ত কর্মকর্তা।

এ সময়ে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ওয়ারী বিভাগে। এ বিভাগে মামলার সংখ্যা ৫৭টি। এসব মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ৬৪৫ জন। এরপরের অবস্থানে রমনা ও গুলশান বিভাগ। রমনা ও গুলশান দুই বিভাগে ৪২টি করে মামলা হয়েছে। রমনা বিভাগের মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ১৮২ জন। গুলশান বিভাগের মামলায় গ্রেফতার ৪১৯ জন। মতিঝিল বিভাগে মামলা হয়েছে ৪০টি। গ্রেফতার হয়েছে ৪২৩ জন। তেজগাঁও বিভাগে মামলা ৩৪টি, গ্রেফতার ৩৫৭ জন। উত্তরা বিভাগে মামলা হয়েছে ৩২টি। গ্রেফতার ৩০৬ জন। মিরপুর বিভাগে মামলা হয়েছে ২৮টি। গ্রেফতার হয়েছে ৪৮৫ জন। লালবাগ বিভাগে মামলা হয়েছে ১৭টি। গ্রেফতার হয়েছেন ১৪১ জন।

২৯২ মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয় ৩ হাজারেরও বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে। উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য সামিউল হক ফারুকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ আসীম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। এছাড়াও একইসঙ্গে ঢালাওভাবে মামলাগুলোতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে কয়েক হাজার।

১৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২৯২ মামলার সবগুলো এজাহারেই কোটাবিরোধী অজ্ঞাতনামা আন্দোলনকারী, জামায়াত-শিবির এবং বিএনপি কর্মীদের আসামি করা হয়েছিল। প্রায় সব মামলার অভিযোগেই বলা হয়েছে, ঘটনার দিন অজ্ঞাতনামা কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী, জামায়াত, শিবির ও বিএনপি নেতাকর্মীরা এক হয়ে লোহার রড, হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভিকটিমদের ওপর আক্রমণ করে হত্যা, ভাঙচুর, চুরি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। মামলার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও করা হয়।

অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, মামলাগুলো করাই হয়েছিল বিএনপিকে হয়রানির জন্য। পুলিশ বাহিনীকে শেখ হাসিনা তার দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছিল। আর এই লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে বিরোধী দল দমনই ছিল তাদের একমাত্র কাজ। যার ফলে পুলিশ এখন মানুষের আস্থার সংকটে পড়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি (পুলিশ সুপার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত) ফখরুজ্জামান জুয়েল যুগান্তরকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ২৯০টি মামলা দায়ের হয়েছিল। এরমধ্যে ২৩০টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বাকি ৬২টি হত্যা মামলা তদন্তাধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে এগুলোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ১৪ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা শহরে যত মিথ্যা এবং প্রতারণামূলক মামলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে তা প্রত্যাহার হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে

হত্যা ছাড়া সব মামলার আসামিকে অব্যাহতি

আপডেট সময় ০২:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত হত্যা ছাড়া অন্য মামলার আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে হত্যা, ভাঙচুর, চুরি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২৯২টি মামলা হয়। এরমধ্যে ৬২টি হত্যা মামলা। এই ৬২টি ছাড়া বাকি ২৩০টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

এ বিষয়ে বিএনপির সহআইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ যুগান্তরকে বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে তাদের অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ। চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি প্রদান করেন আদালত।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, মামলার ঘটনার সঙ্গে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জড়িত না। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা অপরাধ করায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্ত অহেতুক ফেলে না রেখে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পক্ষে মত দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদের সন্ধানসহ নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া গেলে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলেও জানায় তদন্ত কর্মকর্তা।

এ সময়ে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ওয়ারী বিভাগে। এ বিভাগে মামলার সংখ্যা ৫৭টি। এসব মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ৬৪৫ জন। এরপরের অবস্থানে রমনা ও গুলশান বিভাগ। রমনা ও গুলশান দুই বিভাগে ৪২টি করে মামলা হয়েছে। রমনা বিভাগের মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ১৮২ জন। গুলশান বিভাগের মামলায় গ্রেফতার ৪১৯ জন। মতিঝিল বিভাগে মামলা হয়েছে ৪০টি। গ্রেফতার হয়েছে ৪২৩ জন। তেজগাঁও বিভাগে মামলা ৩৪টি, গ্রেফতার ৩৫৭ জন। উত্তরা বিভাগে মামলা হয়েছে ৩২টি। গ্রেফতার ৩০৬ জন। মিরপুর বিভাগে মামলা হয়েছে ২৮টি। গ্রেফতার হয়েছে ৪৮৫ জন। লালবাগ বিভাগে মামলা হয়েছে ১৭টি। গ্রেফতার হয়েছেন ১৪১ জন।

২৯২ মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয় ৩ হাজারেরও বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে। উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য সামিউল হক ফারুকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ আসীম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। এছাড়াও একইসঙ্গে ঢালাওভাবে মামলাগুলোতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে কয়েক হাজার।

১৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২৯২ মামলার সবগুলো এজাহারেই কোটাবিরোধী অজ্ঞাতনামা আন্দোলনকারী, জামায়াত-শিবির এবং বিএনপি কর্মীদের আসামি করা হয়েছিল। প্রায় সব মামলার অভিযোগেই বলা হয়েছে, ঘটনার দিন অজ্ঞাতনামা কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী, জামায়াত, শিবির ও বিএনপি নেতাকর্মীরা এক হয়ে লোহার রড, হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভিকটিমদের ওপর আক্রমণ করে হত্যা, ভাঙচুর, চুরি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। মামলার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও করা হয়।

অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, মামলাগুলো করাই হয়েছিল বিএনপিকে হয়রানির জন্য। পুলিশ বাহিনীকে শেখ হাসিনা তার দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছিল। আর এই লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে বিরোধী দল দমনই ছিল তাদের একমাত্র কাজ। যার ফলে পুলিশ এখন মানুষের আস্থার সংকটে পড়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি (পুলিশ সুপার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত) ফখরুজ্জামান জুয়েল যুগান্তরকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ২৯০টি মামলা দায়ের হয়েছিল। এরমধ্যে ২৩০টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বাকি ৬২টি হত্যা মামলা তদন্তাধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে এগুলোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ১৪ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা শহরে যত মিথ্যা এবং প্রতারণামূলক মামলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে তা প্রত্যাহার হবে।