সম্প্রতি বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) নবম ও দশম গ্রেডে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে ২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ এই পদে নিয়োগের জন্য যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, সেই পরীক্ষাই ছিল বিতর্কিত। নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছিল বলে জানিয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং আটককৃত নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছিল।
এ অবস্থায় বিজিডিসিএলের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রেখে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় উকিল নোটিশও পাঠান তারা। কোনো কিছুই আমলে না নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে বিতর্কিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরই তাড়াহুড়ো করে নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি অভিযোগের বিষয়ে কোনো ধরনের তদন্তই করেনি বিজিডিসিএল।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এবং বিজিডিসিএলের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ দিতেই সুস্পষ্ট অভিযোগ ও তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই এমন অনিয়ম করা হয়েছে। বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নিয়োগ কমিটির সদস্যরা এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। তারা রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং নিজেদের কাছের লোকদের চাকরি পাইয়ে দিতেই আর্থিক সুবিধা নিয়ে তড়িঘড়ি করে বিতর্কিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ দিয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ মার্চ বিজিডিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক (সাধারণ) পদসহ বিভিন্ন পদে লিখিত পরীক্ষা হয়। এক মাস পর গত ৮ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ওই পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি হয়েছে বলে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গত ১২ মে ডিজিটাল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করে সংবাদ সম্মেলন করে ডিবি।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি জানায়, আটক চক্রটি বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক পদসহ সরকারি অন্তত ৯টি নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিল। পরীক্ষায় উত্তীর্ণের শর্তে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ কাজ করে আসছিল চক্রটি। চক্রের সাত সদস্যের বিরুদ্ধে শাহাজানপুর থানায় একটি মামলাও হয়, সেখানেও ৯ নম্বরে ছিল বাখরাবাদের নাম।
পরীক্ষায় ডিভাইস কেলেঙ্কারির কথা জানতে পেরে গত ১৬ মে বাখরাবাদ বরাবর অভিযোগটির সুষ্ঠু তদন্ত ও নিয়োগ স্থগিতের আবেদন করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত ১২ জুন উকিল নোটিশ পাঠায় তারা এবং তদন্ত করে জড়িতদের আবেদন বাতিল করে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীদের আবেদন এবং পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ আমলে না নিয়ে গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে বিতর্কিত পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ২৮ জুলাই সহকারী ব্যবস্থাপক পদে যোগ দেন উত্তীর্ণরা এবং তাদের ১৫ আগস্ট সহকারী ব্যবস্থাপক পদে বিভিন্ন শাখায় পদায়ন করা হয়।
নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ উঠলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে পরীক্ষার্থীরা জানান, ডিভাইস কেলেঙ্কারির বিষয়টি বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ জেনেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই সুষ্ঠু তদন্তের জন্য উকিল নোটিশ পাঠিয়ে তদন্তের জন্য অনুরোধ করা হয়; কিন্তু কোনো কিছুই আমলে না নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।
শুধু আবেদনকারীরা নয়, বাখরাবাদের অনেক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, যাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং পরিচালনা পরিষদের কাছের মানুষ। এ কারণে পরীক্ষায় ডিভাইস কেলেঙ্কারির বিষয়টি কর্তৃপক্ষ জেনেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিজিডিসিএল পরিচালনা পর্ষদের আত্মীয়স্বজন এবং অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের চাকরি দিতেই তদন্ত না করে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিতর্কিত পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ পাওয়াদের বেশিরভাগই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং তারা নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়েছে, যার কয়েকটি প্রমাণও পেয়েছে কালবেলা। এর মধ্যে শরীফুল ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহসভাপতি এবং রাসেল মিয়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক পরিবেশবিষয়ক উপ-সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া আবিদুর রহমান রাব্বি, উৎপল হালদার এবং আল আসমাউল হুসনা তারা তিনজনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া বাকি আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধেও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, রাসেল মিয়া, শরিফুল ইসলাম এবং আল আসমাউল হুসনার এটাই প্রথম ও শেষ চাকরি। এ কারণে তারা অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে চাকরি পেতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। রাসেল মিয়া ভাইভা চলাকালে বাখরাবাদ গ্যাসের এ চাকরি কনফার্ম হবে বলে ঘোষণা করে এবং সে প্রথম হয় বলেও জানায় তার ঘনিষ্ঠ একজন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাখরাবাদে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগ কর্মী আবিদুর রহমান রাব্বি বাখরাবাদের আগে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) সহকারী শিল্পনগরী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায়ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জনই জালিয়াতি চক্রের মাধ্যমে নগদ অর্থ লেনদেন করে বিজিডিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক পদে চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন। এই চক্রের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করে চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন। লিখিত পরীক্ষা থেকে শুরু করে চাকরি নিশ্চিত করার জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ করে টাকা নেওয়া হয়।
এদিকে, নিয়োগ জালিয়াতির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বাখরাবাদের বিভিন্ন অনিয়মের বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগেও কয়েকটি পরীক্ষায় নিয়োগ জলিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। নিয়োগ বাণিজ্য ছাড়াও কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং বিলাসী জীবন, গ্যাসের লোড বৃদ্ধিতে আর্থিক লেনদেনসহ নানামুখী অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে বিজিডিসিএল। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাটি যেন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাখরাবাদে প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার পেছনে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বিজিডিসিএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত বোর্ড পরিচালক জাজরীন নাহার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, জিএম-এডমিন প্রকৌশলী সাইফুল আলম ভূঁইয়া, ডিজিএম- এডমিন মো. শহীদুল ইসলাম এবং নিয়োগ-পদোন্নতি শাখার ম্যানেজার মো. কবিরুল ইসলাম। তারা নিজেদের মধ্যে যোগসাজশে পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছেন।
কর্মকর্তাদের অভিযোগ, নিয়োগ-পদোন্নতি, বদলি, এসিআর কমিটির মাস্টারমাইন্ড হলেন পার্সোনেল শাখার ম্যানেজার মো. কবিরুল ইসলাম। তিনি টানা ১৭ বছর একই শাখায় কর্মরত থাকায় স্বেচ্চাচারী হয়ে উঠেছেন। বদলি এবং পদোন্নতি শাখায় কাজ করার কারণে তিনি তার ইচ্ছামতো বদলি এবং পদোন্নতি দেন। তার অপছন্দের কারণে অনেকের পদোন্নতি ২ থেকে ৩ বছরও আটকে থাকার নজির রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে।
বিজিডিসিএলের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কবিরুল ইসলাম নিয়োগ-বাণিজ্য এবং বদলি তদবির করার জন্যই এ ডিপার্টমেন্ট হাতছাড়া করেন না। তার দুর্ব্যবহার এবং দমন-পীড়নের কারণে এক সহকারী ব্যবস্থাপক দুই মাসের মধ্যে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। তাকে সন্তুষ্টি করা ছাড়া পদোন্নতি ও বদলি হওয়া যায় না। এমনকি অনিয়মের মাধ্যমে এক মাসে আগেই নিজের পদোন্নতি নিয়েছিলেন তিনি।
তারা বলেন, দুর্নীতির কারণে ২০১৭ সালের অফিসার নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ ছিল, সেখানেও কবিরের হাত ছিল, টাকা লেনদেনের অভিযোগের কারণে ২০২২ সালের নিয়োগের রেজাল্ট ছয় মাস দুদক আটকিয়ে দিয়েছিল, তখনো কবিরের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের কাছে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সর্বশেষ ২০২৪-এর নিয়োগেও সেই কবিরের বিরুদ্ধেই নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকলেও বিভাগীয় তদন্তে অদৃশ্য কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। মাঝখানে ২০২৩ সালে অন্য শাখায় বদলি করা হলেও কিছু দিনের মধ্যেই তদবির করে আবার পার্সোনেল শাখায় ফিরে আসেন।
নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চলতি বছরের জুলাইয়ে নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থে তিনি ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে কুমিল্লা শহরের বালুতুপায় ৪ শতক জমি কিনেছেন। এ ছাড়া তার ব্যবহারের সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
বিজিডিসিএলের প্রশাসন বিভাগের জিএম এবং নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী সাইফুল আলম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধেও প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তার বিষয়ে কর্মকর্তারা জানান, বোর্ড চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরকে খুশি করতেই তড়িঘড়ি করে তার মনোনীত প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন।
বাখরাবাদের গ্যাসের লোড বৃদ্ধি এবং গ্যাস সংযোগ দেওয়া নিয়েও চলে আর্থিক লেনদেন। বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন ছাড়া কোনো কোম্পানি গ্যাসের লোড বাড়াতে পারে না। এ ক্ষেত্রে গ্যাসের লোড বৃদ্ধিতে কোম্পানি ভেদে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা দিতে হয় বোর্ড চেয়ারম্যানকে। তাকে টাকা না দিলে ওই কোম্পানির আবেদন অনুমোদনের জন্য বাখরাবাদের বোর্ড মিটিংয়ের আলোচনায় তোলা হয় না।
অনিয়মের বিষয়ে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়। নিয়োগে আমাদের কিছুই করার নেই, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বোর্ড সভার অনুমোদন নিয়ে যথাযথভাবে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। আমরা ছোটখাটো অফিসার, ওপরের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করি। আর জমি কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, জমি কিনেছি সত্য, কিন্তু আমার বাড়ি বিক্রি করে কিনেছি।
বাখরাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, পুরো প্রক্রিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়মের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। নিয়োগ কমিটির সুপারিশ এবং মতামতের ভিত্তিতে সব হয়েছে। এখানে অনিয়মের সুযোগ নেই। যদি কারও বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কবিরুল ইসলাম ১৭ বছর ধরে এক শাখায় কর্মরত থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি হওয়া উচিত না, আমি জানতাম না তিনি ১৭ বছর ধরে এক জায়গায় রয়েছেন। কেন তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়নি, বিষয়টি খোঁজ নেব।
বিজিডিসিএলের বোর্ড চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর কালবেলাকে বলেন, অভিযোগের বিষয়গুলো সঠিক নয়। নিয়োগের পরীক্ষায় জালিয়াতির সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর গ্যাসের লোড বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, টাকা নিয়ে গ্যাসের লোড বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। বোর্ড চেয়ারম্যান এককভাবে এটি অনুমোদন দিতে পারেন না। যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন আসার পর সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দেওয়া হয়।
অভিযোগরে বিষয়ে জানতে নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ও জিএম সাইফুল আলম ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া পার্সোনেল শাখার ম্যানেজার কবিরুল ইসলামকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।