‘অভ্যুত্থানে ছাত্র-সমাজের সঙ্গে শিক্ষকরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন। সমাজের কিছু দুষ্কৃতকারীদের প্ররোচনায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের নিজের শিক্ষার্থীদের কাছে লাঞ্ছিত। নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতি গঠনের কারিগররা অপমানিত হচ্ছে এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে অনেক শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। তাদেরকে স্বপদে বহাল ও অপমানের বিচার করতে হবে।’
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সংগঠনের সমন্বয়ক সজীব সরকার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘সমাজের দুষ্কৃতকারীদের প্ররোচনায় আজ আমার শিক্ষক-শিক্ষিকা তার নিজের শিক্ষার্থীদের কাছে লাঞ্ছিত, যারা জাতি গঠনের কারিগর তারাই আজ অপমানিত নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু সেই স্বপ্নের কারিগররা আজ বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ চলমান শিক্ষক-শিক্ষিকা নির্যাতন এবং জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সসম্মানে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা লাঞ্ছনার সঙ্গে যেসব দুষ্কৃতকারী জড়িত, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এ ছাড়া বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট আইনজীবী ও মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক জয় রায়, দিপংকর চন্দ্র শীল, উত্তম কুমার রায়, নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী লিংকন দত্ত, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাস, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জয়িতা বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বর্ণা রানী দে।