বরিশালে রুপাতলী বাস টার্মিনাল ও সংলগ্ন থ্রি হুইলার স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির এক গ্রুপের হামলায় অপর গ্রুপ ও থ্রি হুইলার চালকসহ ১৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রূপাতলী বাস টার্মিনাল দখলে নেয় মহানগর বিএনপির একটি গ্রুপ। এর আগে আওয়ামী লীগ আমলে চাঁদা দিয়ে এ টার্মিনাল থেকে চলতে হতো ও থ্রি-হুইলার বাস। সরকার পতনের পর কয়েকদিন থ্রি হুইলারে চাঁদা আদায় বন্ধ থাকলেও শুক্রবার নতুনভাবে তা শুরু করে বিএনপি নেতা কালাম চৌধুরী ও আব্দুর রাজ্জাকসহ তাদের লোকজন।
থ্রি-হুইলার চালকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শুক্রবার রাতেই শতাধিক ব্যক্তি লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে চালকসহ ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ভাংচুর করা হয়েছে ১০টির মতো যানবাহন।
থ্রি-হুইলার চালকরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের আমলে একটি সিন্ডিকেট থ্রি-হুইলার চালকদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ৭০ টাকা আদায় করতো। এ ছাড়া প্রতিটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ৮০ থেকে ১২০ টাকা চাঁদা নেওয়া হতো। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থ্রি-হুইলার চালকরা চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বিএনপি নেতা কালাম চৌধুরী ও আব্দুর রাজ্জাকসহ তাদের বাহিনী টার্মিনালের প্রতিটি বাস থেকে প্রতিবার টার্মিনাল থেকে ছাড়তে ১০০-১২০ টাকা করে উত্তোলন শুরু করেন। শুধু বাসই নয়, তারা থ্রি-হুইলার থেকে চাঁদা আদায় শুরু করে। থ্রি-হুইলার চালকরা স্থানীয় ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব মোল্লার নেতৃত্বে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপরই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তবে এসব অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তরা।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আহতদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে আইনানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।