বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিজেদের শুভেচ্ছাদূত করেছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে বর্তমানে সাকিবের ওপর বেশ কিছু অভিযোগ উঠায় তাকে নিজেদের শুভেচ্ছাদূত থেকে বাদ দিয়েছে বিএসইস। বুধবার বিএসইসির কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএসইসি জানিয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ছিলেন বিএসইসির ‘দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের’ শুভেচ্ছাদূত। ২০১৭ সালে সাকিব আল হাসানকে এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করে বিএসইসি।
এর আগে গত ২০২৭ সালের অক্টোবরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাকিবকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ঘোষণা করে বিএসইসি। ওই সময় বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন এম খায়রুল হোসেন।
পরে বিএসইসির ২০২০ সালে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত–উল–ইসলাম বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান হলেও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বহাল রাখা হয় সাকিবকে। এ সময় পুঁজিবাজারের একজন আলোচিত বিনিয়োগকারী হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ঘটে সাকিব আল হাসানের।
জানা যায়, পুঁজিবাজারের আলোচিত কারসাজিকারক আবুল খায়ের হিরুর সঙ্গে মিলে পুঁজিবাজারের বড় বিনিয়োগকারী হয়ে যান সাকিব। গত চার থেকে পাঁচ বছরে পুঁজিবাজারে যেসব শেয়ার নিয়ে আবুল খায়ের হিরু সবচেয়ে বেশি কারসাজির ঘটনা ঘটিয়েছেন, এসব কোম্পানির শেয়ারে সাকিবেরও বিনিয়োগ ছিল।