ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন মুগদা থানা তিন সংগঠনের সমন্বয়ক বিক্ষোভ মিছিল আকবর হোসেন স্মৃতি পাঠাগারের শীতবস্ত্র বিতরণ মির্জাপুরে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হলো ছাড়পত্রবিহীন ৭টি ইটভাটা। বিশিষ্ট শিল্পপতি বিলাসবহুল লঞ্চ অ্যাডভেঞ্চারের মালিক জনাব মোঃ নিজাম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন সিরিয়াকে মাদকের খামারে পরিণত করেছে আসাদ সরকার: এরদোগান অনুমতি ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড আটকাবেন যেভাবে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হচ্ছে: রিজভী নাটোরের খুনি আসামী চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার ‘আল্লাহু আকবার’-‘জয় শ্রী-রাম’ স্লোগান, কী হয়েছিল চৌকা সীমান্তে?

বোরকা পরে পালালেন আখাউড়া মেয়র কাজল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের রূপ নিলে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই পালাতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই তালিকায় রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাবশালী পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলও। আওয়ামী লীগ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের এই ঘনিষ্ঠজন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পালিয়েছেন বলে ধারণা করছেন অনেকে।

সোমবার দুপুরের পর শেখ হাসিনার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা তার পৌরশহরের রাধানগরের বাসভবনে হামলা চালায়। এসময় কাজল বাসা থেকে লাফিয়ে পাশের দিঘি দিয়ে সাঁতরে পালিয়ে যায়। এসময় তাকে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতেও দেখা গেছে। দিঘিতে সাঁতরে তার পালানোর ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিঘি থেকে তীরে উঠে বোরকা পরে সে তার লোকজনের সহায়তায় সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরায় পালিয়েছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। তবে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেও তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, তার বাস ভবনে হামলার সময় তার বাসার ছাদ থেকে পাথর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাছাড়াও ককটেল বিস্ফোরণ করাসহ একাধিক গুলির শব্দও শুনতে পায় আন্দোলনকারী জনতা। এতে একাধিক বিক্ষোভকারী আহত হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই বিক্ষুব্ধ লোকজন মেয়রের বাসভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুরে ও আসবাবপত্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

বুধবার বিকালে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় জরুরি এক মতবিনিময় সভায় উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলম ভুঁইয়া, হেফাজতে ইসলামের কাজী মাঈনুদ্দিন, উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি চন্দন ঘোষসহ সভায় উপস্থিত বিভিন্ন দলের একাধিক নেতাকর্মী বলেন, সরকারের পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি, উপাসনালয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আখাউড়া সরকারের সুবিধাভোগী আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও উপজেলার কোনো সংখ্যালঘুদের পরিবার বা উপাসনালয়ে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। তাদের জানমালের নিরাপত্তা দিচ্ছে ছাত্র-জনতা ও হেফাজত ও জামায়াতে ইসলামির নেতাকর্মীরা।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

বোরকা পরে পালালেন আখাউড়া মেয়র কাজল

আপডেট সময় ১২:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের রূপ নিলে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই পালাতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই তালিকায় রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাবশালী পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলও। আওয়ামী লীগ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের এই ঘনিষ্ঠজন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পালিয়েছেন বলে ধারণা করছেন অনেকে।

সোমবার দুপুরের পর শেখ হাসিনার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা তার পৌরশহরের রাধানগরের বাসভবনে হামলা চালায়। এসময় কাজল বাসা থেকে লাফিয়ে পাশের দিঘি দিয়ে সাঁতরে পালিয়ে যায়। এসময় তাকে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতেও দেখা গেছে। দিঘিতে সাঁতরে তার পালানোর ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিঘি থেকে তীরে উঠে বোরকা পরে সে তার লোকজনের সহায়তায় সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরায় পালিয়েছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। তবে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেও তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, তার বাস ভবনে হামলার সময় তার বাসার ছাদ থেকে পাথর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাছাড়াও ককটেল বিস্ফোরণ করাসহ একাধিক গুলির শব্দও শুনতে পায় আন্দোলনকারী জনতা। এতে একাধিক বিক্ষোভকারী আহত হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই বিক্ষুব্ধ লোকজন মেয়রের বাসভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুরে ও আসবাবপত্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

বুধবার বিকালে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় জরুরি এক মতবিনিময় সভায় উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলম ভুঁইয়া, হেফাজতে ইসলামের কাজী মাঈনুদ্দিন, উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি চন্দন ঘোষসহ সভায় উপস্থিত বিভিন্ন দলের একাধিক নেতাকর্মী বলেন, সরকারের পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি, উপাসনালয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আখাউড়া সরকারের সুবিধাভোগী আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও উপজেলার কোনো সংখ্যালঘুদের পরিবার বা উপাসনালয়ে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। তাদের জানমালের নিরাপত্তা দিচ্ছে ছাত্র-জনতা ও হেফাজত ও জামায়াতে ইসলামির নেতাকর্মীরা।