সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়েছে, চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল মারা গেছেন। তথ্যটি জানতে এই চিত্রনায়কের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হয়। কথার শুরুতেই রুবেল বললেন, ‘কী এক বিপদে পড়েছি, সবাই শুধু ফোন দিয়ে জানতে চাইছেন, আমি মারা গেছি কি না। আমার মৃত্যুর খবরটি গুজব। এখনো ভালো আছি, সুস্থ আছি।’
জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক আরও জানান, গতকাল সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে আসার পরপরই তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়। তিনি বলেন, ‘কী বলব বলেন। এটা অনেকেই শেয়ার করেছেন। তাঁদের শেয়ার করার আগে যাচাই করা উচিত ছিল। যে কারণে এই দুই দিন ধরে একের পর এক ফোন পাচ্ছি। দুই দিন ধরে বিভিন্ন দেশে থেকে আমাকে ফোন দিয়ে জানতে চাইছেন, আমি নাকি মারা গেছি। শুধু আমি নয়, আমার স্ত্রীকেও ফোন দিয়ে আত্মীয়স্বজনেরা একই কথা জানতে চাইছেন। কেউ বলছেন, দুলাভাই কেমন আছেন, কেউ বলছেন, ভাই–মামা–চাচা কেমন আছেন। ভক্তরাও উদ্গ্রীব। এখন সবাইকে বলতে হচ্ছে, আমি জীবিত আছি, সুস্থ আছি।
বর্তমানে এই তারকা ঢাকার বাসাতেই রয়েছেন। দেশের এই পরিস্থিতিতে তেমন একটা বের হচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের গুজব ছড়ানো কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়। এটা নিয়ে পরিবারের সবাই চিন্তিত থাকেন। এটাই লিখুন, আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি। বাসাতেই রয়েছি।
বড় ভাই সোহেল রানার হাত ধরে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন রুবেল। ১৯৮৬ সালে পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘লড়াকু’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তাঁর। প্রথম সিনেমা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়। তারপর শুধুই এগিয়ে গেছেন। সমানতালে অভিনয় করে গেছেন একের পর এক ছবিতে। ‘মায়ের জন্য যুদ্ধ’, ‘বিচ্ছু বাহিনী’, ‘মুখোশ’সহ আড়াই শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন রুবেল। তাঁর অভিনীত বেশির ভাগ সিনেমাই ছিল হিট।
মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্ট পাওয়া রুবেলের মারপিটের দৃশ্য বিশেষভাবে আকর্ষণ করত দর্শকদের। মনের মতো গল্প পান না বলে এখন আর অভিনয়ে দেখা যায় না তাঁকে।