ঢাকা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে লাকসাম প্রেসক্লাবের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন সোসাইটি অফ এনলাইটেন্ড পিপলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত টাকা আত্মসাৎ করলেন ম্যানেজার, মামলা মাঠকর্মীর নামে! ঐক্যবদ্ধভাবে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব: শায়েখে চরমোনাই কোনাবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত। পটুয়াখালী জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং ৮ ডিসেম্বরের সমাবেশে শেখ হাসিনা কিভাবে যুক্ত হবেন, জানে ভারত ড্রিম লুক বিউটি জোন আধুনিক মানের বিউটি পার্লার উদ্বোধন জিআই স্বীকৃতি পেল শেরপুরের ছানার পায়েস ৫ আগস্ট বঙ্গভবনের ঘটনা নিয়ে গণসংহতির বিবৃতি

কানাডার স্বপ্নভঙ্গ করে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

কানাডার স্বপ্নভঙ্গ করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে জিতে ফাইনালের টিকেট কেটেছে স্কালোনির শিষ্যরা। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন আলভারেজ ও মেসি।

আর মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেলেই বিশ্বকাপের পর আরও একটি শিরোপা নিজেদের করে নেবে মেসিরা। সর্বশেষ আট আসরে এটি আলবিসেলেস্তদের ষষ্ঠ ফাইনাল। কলম্বিয়া-উরুগুয়ের ম্যাচের জয়ীদের বিপক্ষে আগামী সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে শিরোপা জয়ের লড়াই নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

এই ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ পায় কানাডা। শ্যাফেলবার্গের বাঁ পায়ের শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৮ মিনিটের মাথায় সেই শ্যাফেলবার্গই আবার একই পজিশনে বল পেলে সেটিও বাইরে মারেন।

তবে ম্যাচে আর্জেন্টিনা প্রথম আক্রমণের সুযোগ আসে ১২ মিনিটের মাথায়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে লিওনেল মেসির বা পায়ের জোড়ালো শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কানাডার খেলোয়াড়রা পেশিশক্তির ব্যবহার করলেও আর্জেন্টিনা মাথা ঠাণ্ডা করে খেলতে থাকে। যার ফলও পেয়ে যায় মেসিরা।

টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার শুরুর ম্যাচে প্রথম গোলটা এসেছিল ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আলভারেজের পা থেকে। আজ সেমিফাইনালেও সেই আলভারেজই ত্রাতা হয়ে আর্জেন্টিনাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। ২২ মিনিটে তার দেওয়া গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো ডি পলের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আলভারেজ।

এগিয়ে যাওয়ার আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ৩৪ মিনিটে এবার ডি মারিয়া তার চিরাচরিত চিপ শটে বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে মারলে সামান্য উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে ডি-বক্সের ভেতর সুযোগ পায় কানাডা। জটলা থেকে নেওয়া আলফনসো ডেভিসের শট রুখে দেন মার্টিনেজ। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধেও দাপটের সঙ্গে লড়াই করে আর্জেন্টিনা। যে কারণে গোল করতেও বেশি দেরি হয়নি তাদের। ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্জেন্টিনা। এনজো ফার্নান্দেজের জোরালো মেসির বাঁপায়ে লেগে কানাডা জালে গিয়ে জমা হয়। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০।

এই অর্ধে ম্যাচে ফেরার জন্য বেশ দারুণ চেষ্টা চালিয়েছে কানাডা। প্রথমার্ধে রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেও এবার উপরে এসেছিল তারা। বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল তারা। তবে সফলতা আসেনি।

অপরদিকে, আর্জেন্টিনাও একের পর এক আক্রমণ করে কানাডা রক্ষণভাগকে ব্যস্ত করে তোলে। ৬১ মিনিটে ডি মারিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে আলভারেজের একটি শট রুখে কানাডার গোলরক্ষক মেক্সিম ক্রিপাউ। এরপর টানা ২টি আক্রমণ চালায় কানাডা। তবে ব্যর্থই থাকে তারা। ৮৯ ও ৯০ মিনিটেও গোলচেষ্টা চালিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটি। তবে সফলতার মুখ দেখেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে লাকসাম প্রেসক্লাবের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন

কানাডার স্বপ্নভঙ্গ করে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

আপডেট সময় ০২:১৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

কানাডার স্বপ্নভঙ্গ করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে জিতে ফাইনালের টিকেট কেটেছে স্কালোনির শিষ্যরা। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন আলভারেজ ও মেসি।

আর মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেলেই বিশ্বকাপের পর আরও একটি শিরোপা নিজেদের করে নেবে মেসিরা। সর্বশেষ আট আসরে এটি আলবিসেলেস্তদের ষষ্ঠ ফাইনাল। কলম্বিয়া-উরুগুয়ের ম্যাচের জয়ীদের বিপক্ষে আগামী সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে শিরোপা জয়ের লড়াই নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

এই ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ পায় কানাডা। শ্যাফেলবার্গের বাঁ পায়ের শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৮ মিনিটের মাথায় সেই শ্যাফেলবার্গই আবার একই পজিশনে বল পেলে সেটিও বাইরে মারেন।

তবে ম্যাচে আর্জেন্টিনা প্রথম আক্রমণের সুযোগ আসে ১২ মিনিটের মাথায়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে লিওনেল মেসির বা পায়ের জোড়ালো শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কানাডার খেলোয়াড়রা পেশিশক্তির ব্যবহার করলেও আর্জেন্টিনা মাথা ঠাণ্ডা করে খেলতে থাকে। যার ফলও পেয়ে যায় মেসিরা।

টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার শুরুর ম্যাচে প্রথম গোলটা এসেছিল ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আলভারেজের পা থেকে। আজ সেমিফাইনালেও সেই আলভারেজই ত্রাতা হয়ে আর্জেন্টিনাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। ২২ মিনিটে তার দেওয়া গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো ডি পলের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আলভারেজ।

এগিয়ে যাওয়ার আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ৩৪ মিনিটে এবার ডি মারিয়া তার চিরাচরিত চিপ শটে বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে মারলে সামান্য উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে ডি-বক্সের ভেতর সুযোগ পায় কানাডা। জটলা থেকে নেওয়া আলফনসো ডেভিসের শট রুখে দেন মার্টিনেজ। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধেও দাপটের সঙ্গে লড়াই করে আর্জেন্টিনা। যে কারণে গোল করতেও বেশি দেরি হয়নি তাদের। ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্জেন্টিনা। এনজো ফার্নান্দেজের জোরালো মেসির বাঁপায়ে লেগে কানাডা জালে গিয়ে জমা হয়। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০।

এই অর্ধে ম্যাচে ফেরার জন্য বেশ দারুণ চেষ্টা চালিয়েছে কানাডা। প্রথমার্ধে রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেও এবার উপরে এসেছিল তারা। বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল তারা। তবে সফলতা আসেনি।

অপরদিকে, আর্জেন্টিনাও একের পর এক আক্রমণ করে কানাডা রক্ষণভাগকে ব্যস্ত করে তোলে। ৬১ মিনিটে ডি মারিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে আলভারেজের একটি শট রুখে কানাডার গোলরক্ষক মেক্সিম ক্রিপাউ। এরপর টানা ২টি আক্রমণ চালায় কানাডা। তবে ব্যর্থই থাকে তারা। ৮৯ ও ৯০ মিনিটেও গোলচেষ্টা চালিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটি। তবে সফলতার মুখ দেখেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।