ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেখ হাসিনা ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে বলেন জামান কামাল নুরুদ্দিন মোল্লা জামালপুর জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের প্রতিবাদ নবীনগর পূর্ব ৬ ইউনিয়নে সরিষা চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে পাংশায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ কিশোরের মৃত্যু সুন্দরবনে প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া ধরার অপরাধে ২ জেলে আটক কমলনগরে ইউপি চেয়ারম্যান জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন না করলেও নিজে দু’টি ব্রিকফিল্ডের মালিক জবিতে অনলাইন সার্টিফিকেট এটেস্টেশন সুবিধা পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা মিঠাপুকুরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা প্রেসক্লাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ চবির প্রোক্টরের গায়ে হাত তুলল শেখ হাসিনা হলের নারী শিক্ষার্থী

‘ভারত-চীনের মতো আফ্রিকায় বাংলাদেশের উপস্থিতি বাড়াতে হবে‌’

আফ্রিকায় ভারত ও চীনের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও বাংলাদেশের সেই অর্থে উপস্থিতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র-সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশকে ভারত ও চীনের মতো আফ্রিকায় গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। 

রোববার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘আফ্রিকায় নজর: বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত অন্বেষণ’ শীর্ষক এক সেমিনার এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। আফ্রিকায় ভারত ও চীনের উপস্থিতি ব্যাপক। আমাদের তেমন উপস্থিতি নেই। আমাদেরও সেই সুযোগ নিতে হবে। আফ্রিকায় আমাদের বাণিজ্য বাড়াতে হবে। অন্যান্য খাতেও সুযোগ অন্বেষণ করতে হবে।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে শোনা যায়, তারা দুবাই, কানাডা, আবুধাবি, যুক্তরাষ্ট্রে যান। কিন্তু আফ্রিকায় যান না। আফ্রিকায় যে সম্ভাবনা আছে, সেটাকে বাস্তবায়ন করতে হলে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সংঘাতও বিবেচনায় নিতে হবে।

এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আফ্রিকা বাংলাদেশের জন্য ভালো বাজার হতে পারে বলে সম্ভাবনার কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আফ্রিকায় বর্তমানে বাংলাদেশের ১০টি মিশন রয়েছে। যে দেশগুলো বাংলাদেশের মিশন নেই, সেগুলোতে মিশন খোলার জন্য সরকার চেষ্টা করছে। সেখানে আমরা আরও নতুন মিশন খোলার চেষ্টা করছি। আফ্রিকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আগে কাজ করেছি। এছাড়া ক্লাইমেট চেঞ্জ ঝুঁকি মোকাবিলায়ও সেখানের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করেছি। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। আফ্রিকার খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে বলেন জামান কামাল নুরুদ্দিন মোল্লা

‘ভারত-চীনের মতো আফ্রিকায় বাংলাদেশের উপস্থিতি বাড়াতে হবে‌’

আপডেট সময় ০৯:২৪:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

আফ্রিকায় ভারত ও চীনের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও বাংলাদেশের সেই অর্থে উপস্থিতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র-সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশকে ভারত ও চীনের মতো আফ্রিকায় গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। 

রোববার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘আফ্রিকায় নজর: বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত অন্বেষণ’ শীর্ষক এক সেমিনার এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। আফ্রিকায় ভারত ও চীনের উপস্থিতি ব্যাপক। আমাদের তেমন উপস্থিতি নেই। আমাদেরও সেই সুযোগ নিতে হবে। আফ্রিকায় আমাদের বাণিজ্য বাড়াতে হবে। অন্যান্য খাতেও সুযোগ অন্বেষণ করতে হবে।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে শোনা যায়, তারা দুবাই, কানাডা, আবুধাবি, যুক্তরাষ্ট্রে যান। কিন্তু আফ্রিকায় যান না। আফ্রিকায় যে সম্ভাবনা আছে, সেটাকে বাস্তবায়ন করতে হলে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সংঘাতও বিবেচনায় নিতে হবে।

এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আফ্রিকা বাংলাদেশের জন্য ভালো বাজার হতে পারে বলে সম্ভাবনার কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আফ্রিকায় বর্তমানে বাংলাদেশের ১০টি মিশন রয়েছে। যে দেশগুলো বাংলাদেশের মিশন নেই, সেগুলোতে মিশন খোলার জন্য সরকার চেষ্টা করছে। সেখানে আমরা আরও নতুন মিশন খোলার চেষ্টা করছি। আফ্রিকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আগে কাজ করেছি। এছাড়া ক্লাইমেট চেঞ্জ ঝুঁকি মোকাবিলায়ও সেখানের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করেছি। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। আফ্রিকার খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে।