যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রী আশফিয়া তাসনিম। আশফিয়া তাসনিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি মো. আশরাফুল আলম ও শামীমা আলম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। তার বাসা রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকায়। বাবা সরকারি চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত এবং মা গৃহিনী।
২০১৪ সালে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে প্রথম হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে স্বর্ণপদক অর্জন করেন। রচনা প্রতিযোগিতায় এবং উপস্থিত বক্তৃতায় ঢাকা বিভাগে যথাক্রমে হয়েছিলেন প্রথম এবং তৃতীয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপনাসহ করেছেন বাঁধন, ক্যারিয়ার ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন। এসএসসি ও এইচএসসি দুটোতেই পেয়েছেন জিপিএ ৫। প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তার নিজ বিভাগেও। অনার্সে সিজিপিএ ৩.৬০ এবং মাস্টার্সে ৩.৮৫ অর্জন করেন আশফিয়া। স্কোর-৭ পেয়ে আইইএলটিএস সম্পন্ন করেন তিনি।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পোস্টার উপস্থাপনা করেছেন চারবার। রিসার্সের কাজের জন্য ২০২২ সালে পেয়েছিলেন এনএসটি ফেলোশিপ। এছাড়াও তিনি ২০২৩ সাল থেকে ইন্সটিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মায়ামি ফ্লোরিডা, টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকো এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণায় ফুল ফান্ডেট স্কলারশিপ পেয়েছেন। তবে তিনি উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করবেন ইউনিভার্সিটি অব মায়ামি থেকে। এ বছর আগষ্ট মাসে পিএইচডি করতে আমেরিকায় পাড়ি জমাবেন আশফিয়া।
এ বিষয়ে আশফিয়া তাসনিম বলেন, আমি যখন ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টায় ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকো থেকে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপের অফার লেটার পেলাম, তখন খুশিতে আমার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছিল। এটা ছিল খুশির কান্না, এটা অন্যরকম একটা অনুভূতি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, নিঃসন্দেহে এই সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আনন্দের এবং গর্বের। এরাই আমাদের আগামী।