পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নিখোঁজের ১১ দিন পর হেলাল হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের ধানীসাফা গ্রামে একটি বাড়ির পিছনে বাগানের ডোবা থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত হেলাল হোসেন পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার সাউথখালী গ্রামের আব্দুল কাদের গাজীর ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের বোন মিনারা বেগম (৩৮) বাদি হয়ে হেলালের স্ত্রী সাজেদা বেগম মনি (২১) এর বিরুদ্ধে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পলাতক সাজেদা বেগম মনিকে স্বরূপকাঠি উপজেলা শহর থেকে গ্রেফতার করে মঠবাড়িয়া থানায় নিয়ে আসে।
মামলা ও স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, হেলাল ধানীসাফা গ্রামের তার স্ত্রী সাজেদা বেগমকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো এবং একটি ভবনের কেয়ারটেকরের পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক্স মেকানিক হিসেবে কাজ করতো। তাদের দাম্পত্য জীবনে তাবাসসুম নামের দেড়ে বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিভিন্ন সময় স্ত্রীর সাথে হেলালের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ হতো। কিছুদিন আগেও হেলালের সাথে তার স্ত্রীর টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়।
গত ২৫ আগস্ট পারিবারিক বিরোধের জের ধরে রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি ও মারামারি হয়। পরে রাতে হেলাল নিখোঁজ হন। স্থানীয় ভাবে অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার আগে এক নারী শাক তুলতে গিয়ে স্থানীয় আলম বেপারীর বাড়ির পিছনে একটি ডোবায় অর্ধগলিত অবস্থায় হেলালের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামী নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম মনিকে স্বরূপকাঠি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।