সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করার সময় গ্রেফতার ১২ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহম্মেদ এ আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- মামুন রশীদ রতন, রাসেল, হুমায়ুন কবির, আল আমিন, শেখ ফরিদ, আজম মোহাম্মদ, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল হাকিম, রিমা আক্তার, শারমিন আক্তার বৃষ্টি, মানিক দাস।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহম্মেদ দুই হাজার টাকা মুচলেখায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ১১ মে অবৈধভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা ও আত্মহত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা হয়। এসআই এসএম এলিস মাহমুদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরিতে আবেদনের বসয়সীমা ৩৫ চাই’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ১১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মোড়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে আসামিরা সভা ও মিছিল-মিটিং করে। এদিন তারা টিএসসি থেকে শাহবাগ মোড় ঘেরাও করার উদ্দেশে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন, জীবননাশকারী পদার্থ দাহ্য জ্বালানিসহ আত্মহত্যার স্লোগান ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে মিছিল নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে পাকা রাস্তার ওপর আসে। পুলিশ তাদের নিবৃত করতে সড়কে লোহার ব্যারিকেড দেয়।
আন্দোলনকারীদের এ সময় রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা পুলিশের কথা না শুনে ব্যারিকেড ভেঙে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে অবস্থান করে এবং রাস্তার ওপর বসে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বারডেম হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা আটকা পড়ে আর্তনাদ করতে থাকে।
এজাহারে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা একটি বাসে ভাঙচুর করে এবং তাদের কাছে থাকা জীবননাশকারী পদার্থ দাহ্য জ্বালানি দিয়ে আগুন ধরিয়ে উসকানিমূলক বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। হ্যান্ড মাইক ও মৌখিকভাবে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তারা রাস্তা না ছেড়ে ডিউটিরত পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
মামলায় আসামিরা হলেন- সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন রশিদ রতন, মো. রাসেল, হুমায়ন কবির, মানিক দাস, আল আমিন, শেখ ফরিদ, আজম মোহাম্মদ, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল হাকিম, রিমা আক্তার, শারমিন আক্তার দৃষ্টি, ফাতেমা আক্তার সানজিদা, শরীফুল হাসান শুভ ও খোকনসহ অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জন।