সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন তোয়াকুল ইউনিয়নের তোয়াকুল বাজারে আফতারুন সোবহান মেটারনিটি ক্বিনিকে ক্লিনার ও আয়া দিয়ে চলে অপারেশন কার্যক্রম। সাইনবোর্ডে বন্ধের নোটিশ থাকলেও রাতের আঁধারে চলে ডেলিভারীর কাজ। এতে সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের। অতিরিক্ত রক্তকরনের ফলে রোগীকে পরবর্তী পাঠানো হয় সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে। এমনই এক প্রতারনা চলে আফতারুন সোবহান মেটারনিটি নামক ঐ প্রতিষ্ঠানে। জানা যায় ঐ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শামীম আহমদ বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্ৰয় নিয়ে এসব কার্যক্রম করে তাকেন।ইতিপূর্বে তাহার বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে একাধিক ভোক্তভোগী অভিযোগ করলে তিনি সাময়িক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। কিন্তু বর্তমানে নিরবে নিবৃত্তে চলে ডেলিভারী কার্যক্রম।
জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ জানান আমার এখানে ডেলিভারী চলে ঘটনাটি সঠিক, আমাদের এলাকা গরীব, অসহায় সাধারণ মানুষের আমি সাহায্য করে থাকি, মাঝে মধ্যে সিরিয়াস রুগী আসলে আমি উদ্ধার করে দেই। দুইটি শিশু একই দিনে মৃত্যুর বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান তারা সময় পার করে শেষ টাইমে সিরিয়াস সময়ে আমার কাছে এসেছে, কোন আল্টান্সোগ্রাম ছিল না এজন্য বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব হয় নি। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে নিয়াগুল গ্রামের পাবেল মিয়ার একটি বাচ্চার মরদেহ পাওয়া যায় এবং বিকাল ৫ ঘঠিকার সময় পেকেরখাল গ্রামের মনোয়ার বেগমের আরেকটি বাচ্চার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে বাচ্চার অভিভাবকদের ক্রন্দনে আকাশ পাতাল ভারী হয়ে উঠেছে। জানাযায় গোয়াইনঘাট মেডিকেলের মেডিকেল অফিসার তানভীর আহমদ এখানে রোগী দেখার কথা থাকলেও তিনি নিয়মিত যাননি সেখানে এছাড়াও একজন মিডওয়াইফ রুনা বেগম কোনমতে ডিউটি করলে সমস্ত কার্যক্রম করেন আয়া তসলিমা বেগম।
অনুসন্ধানে জানা যায় ডাক্তার তানভীর আহমদ সজল নামে গোয়াইনঘাট মেডিকেলের কেউ নন তিনি মর্ডান ডায়গনষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন।
আলোকিত সিলেট কে ডাক্তার তানভীর জানান আমি এক সময়ে ঐ সেন্টারে যেতাম বাট এখন যাইনা। দেড় থেকে দুইমাস পূর্বে মাত্র একদিন গিয়েছিলাম এখন যাওয়া হয়না, তারা আমার নাম ব্যবহার করে ব্লেকমেইল করতেছে।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহলের দাবি অদক্ষ মাসি দের দিয়ে ডেলিভারী করে প্রতিনিয়ত জন্মের পূর্বেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আগামীর সম্ভাবনাময় প্রজন্ম। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে অত্র ডেলিভারী সেন্টার টি বন্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সুধী মহলের।