শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে যারা তথাকথিত আন্দোলন করছেন, তাদের বেশির ভাগই কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কেউ কেউ নোট-গাইড স্কুলপর্যায়ে নিয়ে কমিশনের মাধ্যমে বিক্রি করেন। দুঃখজনক হলেও সত্য এর সঙ্গে কিছু সংখ্যক শিক্ষকও জড়িত। তারা যে দাবিগুলো করছেন সেগুলো একেবারেই অযোক্তিক।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা সংস্কার, বাতিল কিংবা অন্তত পক্ষে ৫০-৬০ নম্বরের পরীক্ষা চায়। তার মানে আমরা যদি বলি ঠিক আছে ৫০-৬০ নম্বরের পরীক্ষা দেব তাহলে তাদের আর বাতিল ও সংস্কারের দরকার নেই। ৫০-৬০ নম্বরের পরীক্ষা কেন? তাহলে বাচ্চাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির নামে কোচিংয়ে যেতে হবে। কাজেই তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোচিং ব্যবসাকে বাঁচিয়ে রাখা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে রূপান্তর। এক সময় আমরা সকলে একটা মুখস্থ বিদ্যা জগত পার হয়ে আসছি। আমাদের সময়ে ১০,১২,১৫ বছরের বিরতিতে এক একটা নতুন প্রযুক্তি আসতো। এখন ১০-১৫ মিনিটে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। এখন কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা যে জগতে বড় হবে সেখানে তাদেরকে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে এবং তারপর নিজেকে নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে এসে সেই জগতে টিকে থাকতে হবে। ভালো করতে হবে। আমরা কি সারাজীবন পিছিয়ে থাকবো? নিশ্চয়ই না। আমরা ২০৪১ সালে একটা উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছি। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, পঞ্চম শিল্পবিপ্লব বা আধুনিক বিশ্বে বাঁচতে হলে আমাদেরকে একেবারে ওই মুখস্থ বিদ্যা পরিহার করতে হবে। আমাদের জেনে, বুঝে, অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের মধ্যে দিয়ে ক্রমাগত শিখতে হবে। দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখন পৃথিবীতে মূল জিনিস হচ্ছে দক্ষতা। সেই কারণে নতুন এই শিক্ষাক্রম রূপান্তর।
এ সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম মোসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ব্যাপারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।