প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা আমাদেরকে ভোটচোর বলে, তারা তো ভোটডাকাত। বুধবার, ২১ জুন দুপুরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট সময়ই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একটি গণতান্ত্রিক ধারা অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যায়। রক্ত দিয়েই কিন্তু আমরা গণতান্তিক ধারা অব্যাহত রেখেছি। এ ছাড়া গণতান্তিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজ দেশেটা এগিয়ে গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর ইলেকশন বলে কিছু ছিল না। ভোটের অধিকার ছিল না। আমরাই আন্দোলন করে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। তাদের কথা আলাদা। তারা একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করলাম আমাদেরই বলে ভোটচোর। আমাদের যারা এটা বলে তারা তো ভোটডাকাত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। ছবিসহ ভোটার তালিকা আছে। তাদের মত তো ভুয়া ভোটার নেই। সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে। জনগণ যদি ভোট দেয়, তাহলে আছি। না হলে নাই। আমি জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি।
রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় শেখ হাসিনা এক প্রশ্নের জবাবে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। দেশে আগাম নির্বাচন দেওয়ার মতো কোনো অবস্থা হয়নি বলে মনে করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী গত ১৪-১৫ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগ দিতে দেশটি সফর করেন।
তার আগে গত ২৩-২৫ মে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেন সরকারপ্রধান।