নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের সর্বশ্রেষ্ট সম্পদ। এ সম্পদকে অবহেলা করা যাবেনা। মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের গর্ব। মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের অহংকার। এই অহংকারকে বিসর্জন দেয়া যাবেনা এবং এটা যেন কখনই বিসর্জন না যায়; সেজন্যেই রাষ্ট্র আজকে দায়িত্ব নিয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা সংরক্ষণ করতে হবে। বড় ধরনের পরিধিতে নিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চর্চা ও গবেষণা করতে হবে। তাহলেই মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ স্বার্থক হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বিরলে বোর্ডহাট মহাবিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কলেজের গভার্ণিং বোর্ডের সভাপতি ফারুক আজমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: আফছানা কাওছার, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় এবং ভারপাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের চোখে অশ্রু দেখতে চাইনা; আমরা দেখতে চাই রাজাকার-আলবদর- আলশামসদের চোখে অশ্রু। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের চোখে আনন্দ অশ্রু দেখতে চাই। আর সেই আনন্দ অশ্রু হলো মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালে বাবা-মা-ভাই-বোন-আত্মীয়-স্বজন হারিয়ে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন; বাংলাদেশকে তিনি মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন। এজন্য তাঁর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তাঁর সঠিক দিক নির্দেশনার কারণেই এধরনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর তৈরি হচ্ছে; যার মাধ্যমে আমাদের সন্তানেরা সমৃদ্ধ হবে।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে বিরলের জগৎপুর ১০ নং রানীপুকুর ইউনিয়নে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে ধান, ভুট্টা ও গম শুকানোর পরিবেশবান্ধব অটোমেটিক ফুড ড্রাইয়ার মিল এর উদ্বোধন করেন। তিনি পরে বিরলের ৯নং মঙ্গলপুর ইউনিয়নে শিকারপুর দুর্গা মন্দির এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল