ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে পথে পথে বাধা, হামলা-মামলা সরকার ও প্রশাসনের অঘোষিত হরতাল বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই জনসম্মতিহীন সরকার।
রোববার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর কাঁটাবনে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠকে নেতারা এসব কথা বলেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ূম, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা জিন্নুর রহমান দীপু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ।
সভায় নেতারা বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংগঠিত হওয়ার অধিকার সরকারের করুণা বা ইচ্ছাধীন বিষয় নয়। বরং তা সংবিধানের ৩৭ ও ৩৯ অনুচ্ছেদ দ্বারা স্বীকৃত। কিন্তু ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার বাসনায় জনগণের সংবিধান স্বীকৃত অধিকারের তোয়াক্কা না করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় গত দুই মাসে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে গুলি করে ৫ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। বিভিন্ন স্থানে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে।
তারা দাবি করেন, নাটোরে যুব অধিকার পরিষদের একজন নেতাকে কুপিয়ে হত্যা এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গণসংহতি আন্দোলনের একজন নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছে সরকারি গুণ্ডারা। সরকার রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে সীমাহীন লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে দাবি করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাকে ঢাল বানিয়ে সরকার তার লুটপাটকে জায়েজ করতে চাচ্ছে। ফলে, জনজীবনে যে নাভিশ্বাস উঠেছে, তার বিক্ষোভকে দমনের পথ নিয়েছে এই জনসম্মতিহীন আওয়ামী লীগ সরকার। গণঅধিকার পরিষদের গ্রেপ্তারকৃত ২৪ ছাত্রনেতার মুক্তির দাবি জানান গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।