ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি সহ ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা হরিলুটের অভিযোগ কাজ না করেই ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ প্রাক্তন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ডিপিডিসিতে কোটি টাকার রাজত্ব লাইনম্যান মিলনের ১২টি সড়ক নির্মাণ ছাড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ রফিকুল ইসলামের আলাউদ্দিনের চেরাগ হাতে পেয়েছে সিসিকের সোহেল জন্মদিনের আবহে মুগ্ধতা ছড়ালেন মিম দেশের ক্ষতি করে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না : চট্টগ্রামে নৌ উপদেষ্টা ‘ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা থেকে আজ নায়ক হয়েছি’ পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ১ পবিত্র কোরআনের কসম, বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করিনি: ওমর আবদুল্লাহ

ভারতে ‘ই-রুপি’ চালু হচ্ছে

ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) ডিজিটাল মুদ্রা চালুর বিষয়টি অনেকেরই জানা। কারণ ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর ঘোষণা দেন দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ওই ঘোষণার পর থেকে মানুষ অপেক্ষায় দিন গুনছে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সেই অপেক্ষার ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়েছে আরবিআই। তারা জানিয়েছে, শিগগিরই পরীক্ষামূলক (পাইলট প্রকল্প) ‘ই-রুপি’ চালু করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে একটি খসড়া পত্র প্রকাশ করে তাদের দাবি, প্রাথমিকভাবে শুধু বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ওই মুদ্রা ব্যবহার করা যাবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ এবং সুরক্ষিত করে গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য। সেই সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা ঠেকানো। ভারতের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি ভারতে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে গণ্য হবে না। ওই সুযোগ পাবে শুধু সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি)। ভবিষ্যতে যা আনার দায়িত্ব রিজার্ভ ব্যাংকের।

শুক্রবার প্রকাশিত খসড়া পত্রে ভারতের ডিজিটাল টাকা বা ‘ই-রুপি’-র ব্যাখ্যা দিয়েছে আরবিআই। জানিয়েছে, খসড়া আনার উদ্দেশ্য এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি। বর্তমান অর্থ ব্যবস্থায় চালু থাকা সাধারণ মুদ্রার বিকল্প আনা তাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং ডিজিটাল টাকাকে সাধারণ নোটের পরিপূরক করে তোলার চেষ্টা চলছে। যাতে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত একটি ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা যায়। যার সুবিধা নিতে পারবে সবাই। নিশ্চিত করা হবে ব্যবস্থাটি যাতে নিরাপদ, দক্ষ, সহজ হওয়ার পাশাপাশি খরচ সাপেক্ষ না হয়। এর মাধ্যমে আরও বেশি মানুষকে সংগঠিত আর্থিক পরিষেবার আওতায় আনা এবং জালিয়াতি নিয়ন্ত্রণ করাও তাদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে আরবিআই।

অতীতে ক্রিপ্টো নিয়ে বার বার সাবধান করেছেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, বেআইনি আর্থিক লেনদেন, ড্রাগ কেনাবেচার মতো ঘটনায় ব্যবহার করা ছাড়াও দেশের আর্থিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মাথাব্যথার কারণ হতে পারে এই মুদ্রা। ক্রিপ্টোকে সম্পদ অ্যাখ্যা দিয়ে তাতে কর বসিয়েছে ভারত সরকার। বিশ্ব মঞ্চে এগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথাও বলেছেন নির্মলা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ই-রুপি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। একাংশের দাবি, এটা ভবিষ্যতে ভারতের আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার নকশাই বদলে দিতে পারে।

আরবিআই বলেছে, সাধারণ মুদ্রার মতো পরিচালিত হবে ই-টাকা, কিছুটা পরিবর্ধিত ব্যবস্থা হিসেবে। এমনভাবে তৈরি হবে, যাতে তা প্রায় কাগুজে টাকার মতো হয়। চালুর প্রক্রিয়াও সহজে সামলানোর ব্যবস্থা করা হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি সহ ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা হরিলুটের অভিযোগ

ভারতে ‘ই-রুপি’ চালু হচ্ছে

আপডেট সময় ০৩:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২

ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) ডিজিটাল মুদ্রা চালুর বিষয়টি অনেকেরই জানা। কারণ ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর ঘোষণা দেন দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ওই ঘোষণার পর থেকে মানুষ অপেক্ষায় দিন গুনছে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সেই অপেক্ষার ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়েছে আরবিআই। তারা জানিয়েছে, শিগগিরই পরীক্ষামূলক (পাইলট প্রকল্প) ‘ই-রুপি’ চালু করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে একটি খসড়া পত্র প্রকাশ করে তাদের দাবি, প্রাথমিকভাবে শুধু বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ওই মুদ্রা ব্যবহার করা যাবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ এবং সুরক্ষিত করে গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য। সেই সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা ঠেকানো। ভারতের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি ভারতে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে গণ্য হবে না। ওই সুযোগ পাবে শুধু সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি)। ভবিষ্যতে যা আনার দায়িত্ব রিজার্ভ ব্যাংকের।

শুক্রবার প্রকাশিত খসড়া পত্রে ভারতের ডিজিটাল টাকা বা ‘ই-রুপি’-র ব্যাখ্যা দিয়েছে আরবিআই। জানিয়েছে, খসড়া আনার উদ্দেশ্য এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি। বর্তমান অর্থ ব্যবস্থায় চালু থাকা সাধারণ মুদ্রার বিকল্প আনা তাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং ডিজিটাল টাকাকে সাধারণ নোটের পরিপূরক করে তোলার চেষ্টা চলছে। যাতে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত একটি ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা যায়। যার সুবিধা নিতে পারবে সবাই। নিশ্চিত করা হবে ব্যবস্থাটি যাতে নিরাপদ, দক্ষ, সহজ হওয়ার পাশাপাশি খরচ সাপেক্ষ না হয়। এর মাধ্যমে আরও বেশি মানুষকে সংগঠিত আর্থিক পরিষেবার আওতায় আনা এবং জালিয়াতি নিয়ন্ত্রণ করাও তাদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে আরবিআই।

অতীতে ক্রিপ্টো নিয়ে বার বার সাবধান করেছেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, বেআইনি আর্থিক লেনদেন, ড্রাগ কেনাবেচার মতো ঘটনায় ব্যবহার করা ছাড়াও দেশের আর্থিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মাথাব্যথার কারণ হতে পারে এই মুদ্রা। ক্রিপ্টোকে সম্পদ অ্যাখ্যা দিয়ে তাতে কর বসিয়েছে ভারত সরকার। বিশ্ব মঞ্চে এগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথাও বলেছেন নির্মলা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ই-রুপি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। একাংশের দাবি, এটা ভবিষ্যতে ভারতের আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার নকশাই বদলে দিতে পারে।

আরবিআই বলেছে, সাধারণ মুদ্রার মতো পরিচালিত হবে ই-টাকা, কিছুটা পরিবর্ধিত ব্যবস্থা হিসেবে। এমনভাবে তৈরি হবে, যাতে তা প্রায় কাগুজে টাকার মতো হয়। চালুর প্রক্রিয়াও সহজে সামলানোর ব্যবস্থা করা হবে।