কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে থানা পুলিশের বিশেষ তৎপরতায় অটোচালক রাসেদ হত্যার মাত্র ১৩ দিনের মাথায় খুনি খাইরুল আলম শাকিল (২৭) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত শাকিল উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত শাকিল হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে থানা হলরুমে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘গত ১৯ জানুয়ারি বিকালে উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের শামুকসার এলাকার বোয়ালজুরি খালের পাশের ফসলি জমি থেকে উদ্ধারকৃত রাসেদ মিয়া (১৮) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) নির্দেশনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা রুজুর পর থানা পুলিশ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এছাড়া মুন্সীরহাট বাজার থেকে ঘটনাস্থল পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তা ও বাজারে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে রাসেদ হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট খাইরুল আলম শাকিল নামে এক ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া গ্রামের তার নিজ বসতবাড়ী থেকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে জানায়, ধারের ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সে ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে অটোচালক রাসেদকে ২৭০ টাকা ভাড়ার চুক্তিতে মুন্সীরহাট বাজার থেকে সুয়াগাজী যাওয়ার কথা বলে শামুকসার এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
পরে ছিনতাইকালে ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ের শাকিল রাসেদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই রাসেদের মৃত্যু হয়।
পরে শাকিলের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ী থেকে হত্যাকান্ডের দিন তার পরিধেয় পোষাক এবং ঘটনাস্থল বোয়ালজুরি খাল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি কর্দমাক্ত চাকু (সুইচ গিয়ার) উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আটককৃত শাকিলকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।