ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশকে ২২৬৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জার্মানি দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন জামায়াত সেক্রেটারি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক বীজ রাখার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমান গুজবে কান দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি না করার আহবান জাবিতে ছাত্রদলের দুগ্রুপে উত্তেজনা, বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন, স্ত্রী প্রেমিকসহ ৩ জনের ফাঁসি নিটওয়্যার উদ্ভাবন ও সহযোগিতায় সিজিং ‘বাংলাদেশ নাইট’ ১১১ নারীকে ধর্ষণ–যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ধনকুবের ফায়েদ ইসকন ও আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

হবিগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা জুড়ে ক্ষুদ্র ঋণের নামে চলছে দাদন ব্যবসা

উপজেলার বেশ কিছু ইউনিয়নে উপজেলা সমাজ সেবা ও সমবায় অধিদপ্তরে অনুমতি নিয়ে নামে বেনামে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অনুমতি বিহীন ব্যঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে দাদন ব্যবসা।

২০% সঞ্চয় গ্রাহক থেকে নিয়ে ঋণ বিতরণ করে দৈনিক আদায় করেন। মুনাফার হার ১৫% ৩ মাস আদায়যোগ্য সময় বেশি হলে মুনাফা দ্বিগুণ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এসব ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত। কারো ভিটে মাটি, স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে দেনার দায় থেকে মুক্তি হতে পারছে না। ফলে দেশান্তরী ও আত্মহত্যার মতো দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে গরীব চা জনগোষ্ঠী তাদের মূল টার্গেট। সম্প্রতি সমাজ সেবা ও সমবায় অধিদপ্তরে আবেদন করে আবার আবেদনবিহীন ভাবেও চলছে এসব ব্যবসা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনুমোদন বিহীন উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডাক বাংলো রোডে ইউনিটি ওল্ড কেয়ার সোসাইটি নামে একটি সংস্থা সুরমা-তেলিয়াপাড়া চা বাগান প্রান্তিক চা জনগোষ্ঠী সহ শাহজাহানপুর ইউনিয়নে তারা ক্ষুদ্র ঋণের নামে দাদন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু মানুষদের উৎসাহিত করে তাদের এখানে আমানত রাখার জন্য প্রলোব্ধ করে। প্রতি ১ লক্ষ টাকা আমানতের বিপরীতে প্রতি মাসে ২ হাজার ৩শ টাকা করে গ্রাহককে দেয়। ফলে কিছু মানুষ তাদের সহায় সম্ভব বিক্রয় করে অথবা চাকুরীর শেষ বয়সে সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে না রেখে তাদের কাছে গচ্ছিত রাখে। ওই মূলধন দিয়ে মূলত তাদের ব্যবসা রমরমা চলছে।

সংস্থার সভাপতি শাহজাহানপুর গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে হোসনে আজম আপন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানায়, গত ৬/৭ মাস ধরে তাদের কার্যক্রম চলছে। অনুমোদন ব্যাপারে তারা বলেন, মাধবপুর সমাজ সেবা অফিসে আবেদন করা হয়েছে। সমাজসেবা কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাব আলী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ওই সংস্থার একটি আবেদন পেয়েছি। তাদেরকে বলেছি, সরজমিনে তদন্ত করে তাদের আবেদন জেলা পর্যায়ে পাঠানো হবে। তার আগে তাদের কোন ধরনের কার্যক্রম করা যাবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনজুর আহসান বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের নামে ওই ধরনের অবৈধ কোন সংস্থা মাধবপুর উপজেলায় চলতে দেওয়া হবে না। যেখানেই এগুলো সন্ধান পাওয়া যাবে সেখানেই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে

হবিগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা জুড়ে ক্ষুদ্র ঋণের নামে চলছে দাদন ব্যবসা

আপডেট সময় ০৬:২৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

উপজেলার বেশ কিছু ইউনিয়নে উপজেলা সমাজ সেবা ও সমবায় অধিদপ্তরে অনুমতি নিয়ে নামে বেনামে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অনুমতি বিহীন ব্যঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে দাদন ব্যবসা।

২০% সঞ্চয় গ্রাহক থেকে নিয়ে ঋণ বিতরণ করে দৈনিক আদায় করেন। মুনাফার হার ১৫% ৩ মাস আদায়যোগ্য সময় বেশি হলে মুনাফা দ্বিগুণ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এসব ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত। কারো ভিটে মাটি, স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে দেনার দায় থেকে মুক্তি হতে পারছে না। ফলে দেশান্তরী ও আত্মহত্যার মতো দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে গরীব চা জনগোষ্ঠী তাদের মূল টার্গেট। সম্প্রতি সমাজ সেবা ও সমবায় অধিদপ্তরে আবেদন করে আবার আবেদনবিহীন ভাবেও চলছে এসব ব্যবসা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনুমোদন বিহীন উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডাক বাংলো রোডে ইউনিটি ওল্ড কেয়ার সোসাইটি নামে একটি সংস্থা সুরমা-তেলিয়াপাড়া চা বাগান প্রান্তিক চা জনগোষ্ঠী সহ শাহজাহানপুর ইউনিয়নে তারা ক্ষুদ্র ঋণের নামে দাদন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু মানুষদের উৎসাহিত করে তাদের এখানে আমানত রাখার জন্য প্রলোব্ধ করে। প্রতি ১ লক্ষ টাকা আমানতের বিপরীতে প্রতি মাসে ২ হাজার ৩শ টাকা করে গ্রাহককে দেয়। ফলে কিছু মানুষ তাদের সহায় সম্ভব বিক্রয় করে অথবা চাকুরীর শেষ বয়সে সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে না রেখে তাদের কাছে গচ্ছিত রাখে। ওই মূলধন দিয়ে মূলত তাদের ব্যবসা রমরমা চলছে।

সংস্থার সভাপতি শাহজাহানপুর গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে হোসনে আজম আপন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানায়, গত ৬/৭ মাস ধরে তাদের কার্যক্রম চলছে। অনুমোদন ব্যাপারে তারা বলেন, মাধবপুর সমাজ সেবা অফিসে আবেদন করা হয়েছে। সমাজসেবা কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাব আলী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ওই সংস্থার একটি আবেদন পেয়েছি। তাদেরকে বলেছি, সরজমিনে তদন্ত করে তাদের আবেদন জেলা পর্যায়ে পাঠানো হবে। তার আগে তাদের কোন ধরনের কার্যক্রম করা যাবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনজুর আহসান বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের নামে ওই ধরনের অবৈধ কোন সংস্থা মাধবপুর উপজেলায় চলতে দেওয়া হবে না। যেখানেই এগুলো সন্ধান পাওয়া যাবে সেখানেই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।