বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ৩৫ নম্বর সাক্ষীর যাতায়াতে রাস্তা পাকা করনে চিহ্নিত রাজা কার পরিবার ও বিএনপি ,জামাত অপশক্তি বাধা প্রদান করছে।
জাতির পিতা হত্যা মামলার ৩৫ নম্বর সাক্ষীর বাড়ির রাস্তা স্বাধীনতার ৫১ বছর পর মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শফিকুর রহমানের নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি মতে রাস্তা টি পাকা করানো হচ্ছে। কিন্তু কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ও অপশক্তি বাস্তবায়নকৃত রাস্তাটি যেন আলোর মুখ না দেখে তাই কিছু ভিন্ন মতাদর্শ ও স্বাধীনতা বিরোধী আদর্শের কর্মীদের সাথে নিয়ে মানববন্ধন ও ঠিকাদার যেন বাস্তবায়নকৃত রাস্তাটি সম্পন্ন না হয় তার জন্য হুমকি ও স্থানীয় হলুদ সাংবাদিকদের দ্বারা আঞ্চলিক পত্রিকায় ভুল তথ্য প্রচার করছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রাম হবে শহর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানীয় প্রতিনিধি সর্বোচ্চ সচেষ্ট। সে লক্ষ্যে হর্নি দুর্গাপুর গ্রামের কাঁচা মাটির রাস্তা পাকা করনে সকল নিয়ম নীতি অনুসরণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আনন্দের সঞ্চার ঘটে ।
হঠাৎই থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিনের বেপারী হারুন ,যুবদল কর্মী সবুজ এলাকা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মির উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। গৃহস্থের ঘর থেকে গরু- ছাগল ,ক্ষেত থেকে ফসল কেটে নিয়ে গেছে যা লোকমুখে প্রচলিত।
চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ সংসদীয় আসনটি বেশিরভাগ সময় স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি ক্ষমতায় থাকার কারণে এই অঞ্চলের জনগণের জীবনে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ প্রাপ্ত হয় নাই। বর্তমান চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে একজন সাদা মনের মানুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক শফিকুর রহমান এমপি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সেবা জনগণের দরজায় পৌঁছে দিচ্ছেন। কিন্তু স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির কর্মীরা খুব তৎপর হয়ে মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রচার করে এবং তাদের মতাদর্শের সংবাদ কর্মীদের সহায়তায় রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করছে।
সরজমিন প্রতিবেদন এ জানা যায় যে, চলমান রাস্তাটি দীর্ঘদিন কাঁচা ও ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। এই রাস্তায় একটি প্রাইমারি স্কুল ও দোতালা মসজিদ অবস্থিত। কোমলমতি শিশু ও বয়স্ক নামাজিদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সমাজসেবক মকবুল আহমেদ, সম্পাদক ফয়সাল আলম ও শ্রমিকলীগ কর্মী হারুনুর রশিদ হারুন সংসদ সদস্যের কাছে জনগণের চলাচলে অসুবিধার কথা তুলে ধরেন।
সংসদ সদস্য জনদুর্ভোগ অনুধাবন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের থানা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবরার হোসেন কে নির্দেশ প্রদান করেন, তিনি সরেজমিনে গিয়ে রাস্তাটির আইডি নাম্বার ও এস্টিমেট এর কাজ সম্পন্ন করে এলজিইডি প্রধান কার্যালয় প্রেরণ করেন। সেখানে সংসদ সদস্য ডিও লেটার এর মাধ্যমে ২ ফেব্রুয়ারি 2022 সালের চকিদার বাড়ি হইতে ইয়াসিন বেপারি বাড়ি পর্যন্ত সড়ক আইডি তৈরি করেন। আইডি নং ৪১৩৪৫৫২১৩( চেইনেজ ০০-১০০০) এক কিলোমিটার রাস্তাটি আই আরআইডিপি-৩ প্রকল্প এলজিইডি সদর দপ্তর ঢাকা থেকে বাস্তবায়ন এর জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে বাস্তবায়নের কাজ চলমান। জাতির পিতা হত্যা মামলার ৩৫ নম্বর সাক্ষী ইয়াসিন বেপারীর বসতবাড়ি হওয়ায় রাস্তাটি অধিক গুরুত্ব পায়।
অধিকন্ত যে রাস্তাটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছু এক ব্যক্তি বলেন ,রাজাকার সন্তান আজিজুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি টিনের ব্যাপারী হারুন, ও যুবদল কর্মী সবুজ রাস্তা ব্যবহারকারী জনগণের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়, যখন তারা টাকার জন্য চাপ দেয় তখনই বর্তমানে চলমান রাস্তাটি জন্য তারা অর্থ উত্তোলন করেছে মর্মে ভুল ও মিথ্যা অপপ্রচার করছে এবং আইডি ভক্ত রাস্তাটি তৈরি হয়ে যায় তাহলে বিপরীত দিক দিয়ে স্টীলের ব্রীজে যাওয়ার রাস্তাটি সম্পন্ন করতে অর্থ আত্মসাৎ কারীদের সময় লাগবে এবং না করতে পারলে উত্তোলনকৃত টাকা ফেরত দেওয়া লাগবে ।
এই লক্ষ্যে তারা বর্তমান রাস্তা টি যেন না হয় সে চেষ্টা করছে। অর্থ আত্মসাৎ কারী, স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার পরিবারের সন্তান আজিজুর রহমান, হারুন ও সবুজ প্রকাশ্যে জাতির পিতার হত্যা মামলার সাক্ষী ইয়াসিন বেপারীকে হত্যার হুমকি প্রদান করছে।
প্রতিবেদন তৈরীর সময় ইয়াসিন বেপারী আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এই চিহ্নিত রাজাকার পরিবারের সন্তান আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। মহান রাব্বুল আলামিন কি এই দিনটি দেখার জন্যই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি এর বিচার চাই। আমি জাতির পিতার কন্যা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ভুক্তভোগী নারী, পুরুষ ও শিশুদের সাথে আলোচনা জানা যায় এত বছর পর আমাদের গ্রামের রাস্তাটি আলোর মুখ দেখছে, যারা এর ক্ষতি সাধনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচার ও শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে প্রশাসন এর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপজেলার দায়িত্বরত এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবরার হোসেন এর উপর বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বল প্রয়োগের হীন চেষ্টা করছে। প্রতিবেদন তৈরি স্বার্থে মুঠোফোনে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবরার হোসেন বলেন এমপি ডিও লেটার এ রাস্তা টি যেভাবে উল্লেখিত আছে সেভাবে সম্পূর্ণ করা হবে কোন প্রকার অন্যায় ও বল প্রয়োগ প্রাধান্য পাবে না।