রাজধানি মোঃপুরের ঢাকা উদ্যান হাজী মনির মিঞা মার্কেট সংলগ্ন রিহাম জুয়েলার্সের মালিক জয়নাল আহাম্মেদ গ্রেফতার আজ২৭/০১/২০২৩ ইং রোজ শুক্রবার আনুমানিক রাত ৭ঘটিকা থেকে ৮ ঘটিকার সময় পুলিশ এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জুয়েলার্সের পাশে দোকানিদের কাছ থেকে জানা য়ায, এক মহিলা চোরের কাছ থেকে ২ভরি ৫ আনা স্বর্ণালংকার ক্রয়ের অভিযোগে মিরপুর থানা পুলিশ ও মোঃপুর থানার পুলিশ সহ চার পাঁচ জন মহিলা সহ এসে তাকে গ্রেফতার করে। উপস্থিত জুয়েলারি দোকানের সামনে একজন বড়ই বিক্রেতার সামনে লোহার সিন্দুক ও সোকেস থেকে তলব করে পুলিশের মতে অভিযুক্ত গহনার ১ জোড়া রুলি আনুমানিক ২ভড়ি ২টা আংটি ৯ আনা ১টি চেইন ৫ আনা। সর্বমোট আনুমানিক ২ভরি ১৪ আনা স্বর্ণালংকার জব্দ করে। উদ্বার অভিযান শেষ করে তাকে মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে যায়। কিন্ত ঘটনাটি স্থানীয় লোক জনের মাঝে ঘটকা লেগে আছে কোন থানার মামলাতা নিয়ে ।
সাধারন লোকজন বলাবলি করছে মহিলা চোর বিগত ৬ মাস আগে চুরি করে। চুরিকে কেন্দ্রে করে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই চোরাই গহনা কিনার ছয় মাস পর চোর সহ স্বর্ণকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উক্ত বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় রিহাম জুয়েলার্সের মালিক দীর্ঘ দিন যাবৎ সুনামের সাথে জুয়েলারি ওয়ার্কশপ পরিচালনা করে আসছে। স্থানীয় এলাকার ক্ষুদেপুদ্দার ১০০ টাকা কম বেশি দামে জুয়েলারি মালিকদের সাথে পাইকারি স্বর্ণ রুপার ব্যবসায় করেন এবং গহনার নকশা চিত্র ফুটিয়ে তুলেন ড্রাম সিলা পলিশের মাধ্যমে।
স্থানীয় লোকজনদের দাবি ঘটনাটি চক্রান্ত জনিত। স্থানীয় ঢাকা উদ্যান স্বর্ণকার সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন স্থানীয় এলাকার জুয়েলারির মালিক দের এমনিতেই দুর্দিনের লাগব নেই । দিন দিন স্বর্ণের দাম যে হারে চড়াও হচ্ছে জুয়েলারি তৈরি করার চেয়ে বিক্রয় প্রবনতাই বেশি দেখা যায় সাধারন কাষ্টমারের কাছে। চোর চিহ্নিত করতে পারলে কোন জুয়েলার্সের মালিক মালামাল ক্রয় করেনা। কিন্তু বহুরুপির শহরে সাধুসন্ন্যাসী রুপে চলমান চোর ধরার সাধ্য কার।
বাংলাদেশে জুয়েলারি কাষ্টমার এখনো সচেতন না। তারা গহনার স্লিপ সংরক্ষিত রাখতে পারেনা। পেটের দায়ে ২/৪/ ৫০০ টাকার লাভের জন্য পরতে হয় আইনের বেড়া জালে ।তাই আমরা মহল্লা জুয়েলারি মালিকরা সব সময় হুমকির মুখে থাকতে হয়।গহনার দাম বাড়াতে আর জনগনের শ্রমমুল্য কমাতে আমরা ব্যাবসায়িরা বিপাকে।উভয় সংকটের মধ্যে দিয়েই দিন পার করতে হচ্ছে আমাদের।ডাকাতে মালামাল নিয়ে গেলে মাথায় হাত আর কোন রকম ডাকাতির মালামাল ভুলবশত ক্রয় করলে পরতে হয় ডিবি পুলিশের ফাঁদে । ডিবি পুলিশ ২/৪আনা মালের জন্য জুয়েলারির সবমালামাল জব্দ করে ফেলেএবং সিসি টিভির ফুটেজ কেটে দেয় এবং জব্দ কৃত মালামালের জন্য দির্ঘদিন জেলহাজত খাটতে হয় ।ব্যবসায় করে শান্তি নাই। আমাদের এই দূর্ভিষ্য নির্যাতন থেকে কে রেয়াত করবে?