দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের বরাট প্রধান কার্যালয় জে.এ.এম. সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি সমবায় সমিতির মালিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে ঋণগ্রহীতা ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে সুকৌশলে বাড়ি থেকে তুলে এনে ঋনের টাকা এক কালিন সম্পুর্ণ পরিশোধ করা জন্য মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর ) বিকাল ৩ টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়ন রামপুর গ্ৰামের ঋণ গ্রাহীতা মরিয়ম বেগম (৪৫) স্বামী খোরশেদ আলম, এবং নাজমা বেগম (৩৬) স্বামী মোরশেদ আলম নুরজাহান বেগম (৪০) স্বামী রুহুল এবং জামিনদার জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী নয়ন তারাকে চড়ম মারপিট করা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কিস্তির টাকা বকেয়া থাকায় ঋণের টাকা আদায় করতে শুক্রবার দুপুরের দিকে ঋণগ্রহীতাদের বাসায় মাইক্রোবাস নিয়ে দুইজন লোক আসেন, কিস্তির টাকার বিষয়ে জে.এ.এম,সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড এর অফিসে গিয়ে কথা বলতে হবে, বলে তাদের সাথে থাকা মাইক্রোবাসে তুলে বরাটস্থ জে.এ.এম, সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড এর অফিসে নিয়ে আসে। অফিসের সামনে গাড়ি থেকে নামার পর,
সভাপতি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আমির হোসেন, মাঠকর্মী সহ চারজন কিস্তির টাকা আদায় করতে ঋণগ্রহীতা ও তাদের পরিবারের সদস্যদদের মারধর আরম্ভ করেন । জামিনদার অভিযোগে তুলে নেওয়া জাহাঙ্গীর আলম জানেন না, কার ঋনপত্রে জামিনদার হয়েছেন ? একথা বলার পর সমিতি মালিক আমিরহোসেন জাহাঙ্গীর আলমকে ও মারদর করতে থাকে। আমির হোসেনের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে জানান ইয়াছিনের স্ত্রী জুলেখার ঋন পত্রে জামিনদার হয়েছেন।
সন্ধ্যা ৮,৩০ পর্যন্ত সমিতি অফিস কক্ষে আটকিয়ে রাখেন। স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে জুলেখার ঋনপত্র নথি দেখে প্রমান হয় জাহাঙ্গীর আলম জুলেখার নথিপত্রে জালিয়াতি করে জে.এ.এম. সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড এর মাঠর্কমি নিজেই জিম্মাদার কলামে জাহাঙ্গীর আলমের দস্তখত জালিয়াতি করেছেন।
স্থানীয়দের সামনে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায়. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন সমিতি মালিক আমির হোসেন।
মহিলাদের শারীরিক নির্যাতন ব্যবহারিত স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া বিষয়ে জানতে চাইলে আমির হোসেন সরাসরি অস্বীকার করে বলেন,তারা আমার সদস্য।
ঋণ খেলাপিদের কাছথেকে টাকা আদায় করতে শারীরিক নির্যাতনে বিষয়ে দেবিদ্বার থানায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী নাজমা বেগম। অভিযোগ বিষয়ে অফিসার ইনচার্য কমল কৃষ্ণ ধর বলেন অভিযোগ হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে । এলাকাবাসির সহযোগিতায় উদ্ধার হয় ভুক্তভোগীরা।
সত্য খবর প্রকাশে অবিচল
দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি
পত্রিকা কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
I am স্যাটিসফাইড ফর প্রিন্টিং দ্যা নিউজ