র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এক কথায় মাদক নির্মূলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেন র্যাব-৭ র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফের শাপলাপুর এলাকা হতে একটি ফিশিং বোট যোগে ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, ফিশিং বোটটি কক্সবাজার জেলার বদরখালি হয়ে মগনামা দিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালি/আনোয়ারার দিকে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে।
পরবর্তীতে উক্ত বোটটিকে সনাক্ত করার জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সমুদ্রপথে নজরদারী কার্যক্রম বৃদ্ধি করে এবং সড়কপথে বিভিন্ন ফিশারীঘাটে নজরদারীতে থাকে। একপর্যায়ে বোটটি সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর আভিযানিক দল স্থানীয় স্প্রীড বোটের সহায়তায় বোটটিকে ধৃত করার চেষ্টাকালে ফিশিং বোটটি দ্রুত বেগে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানাধীন মগনামা লঞ্চঘাটে থামানো সংগে সংগে অদ্য ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখ ০৪৫০ ঘটিকার সময় ০৫ জন সহ ফিশিং বোটটি আটক করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো ০১। নুরুল আবছার (৩২), পিতা- মোঃ ছবির আলম, সাং-সিকদার পাড়া, থানা- কুতুবদিয়া, জেলা- কক্সবাজার, ০২। মোঃ মেহের আলী (৩৯), পিতা- মৃত জামাল উদ্দিন, সাং- কুতুবদিয়া পাড়া, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার, ০৩। আব্দুল হামিদ (৩৭), পিতা- নুরুল ইসলাম, সাং- উত্তর কুতুবদিয়া পাড়া, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার, ০৪। মোঃ কালু (২৩), পিতা- মৃত জামাল উদ্দিন, সাং- উত্তর কুতুবদিয়া পাড়া, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার এবং ০৫। নুরু হাসান (৩৩) (রোহিঙ্গা), পিতা- আবু তাহের, সাং- কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প, থানা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের দেখানো মতে ফিশিং বোটে রক্ষিত মাছ রাখার ড্রামের মধ্যে হতে আসামীদের নিজ হাতে বের করে দেয়ামতে সাদা পলিথিন দ্বারা মোড়ানো ইট সাদৃশ ২০টি ইয়াবার কার্ডে মোট ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত টেকনাফের সীমান্ত এলাকা হতে সাগর পথে মাদক জাতীয় দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, তারা এলাকায় বিভিন্ন কাজের আড়ালে দীর্ঘদিন যাবত মাদক পরিবহনের মত জঘন্য কাজ করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ছয় কোটি টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।