খুলনা ২১ বিজিবির বিশেষ টহল দল শার্শা কায়বা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৭০ পিস স্বর্ণের বার ও একটি প্রাইভেটকার সহ শফিকুল ও হান্নান নামে দুই পাচারকারীকে আটক করেছে। যার ওজন ৮ কেজি ১৬৩ গ্রাম। মূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
কর্নেল মামুনূর রশীদ, পিএসসি, সেক্টর কমান্ডার, সেক্টর সদর দপ্তর, খুলনা এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অধিনায়ক, খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) বিএ-৬৫০৭ লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তানভীর রহমান, পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স এর নিজস্ব সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে শার্শা পাঁচকায়বা আম বাগানের পার্শ্ব দিয়ে একটি স্বর্নের বড় চালান ভারতে পাচার হবে বলে জানা যায়।
সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে অধিনায়ক, খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) এর নেতৃত্বে ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহল দল মেইন পিলার ১৭/৭ এস এর ২০ আর পিলার হতে আনুমানিক ০৩ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শার্শা পাঁচকায়বা নামক স্থানে আম বাগানের মধ্যে অবস্থান নিলে ০১টি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার আসতে দেখে। প্রাইভেটকারটি টহল দলের নিকটবর্তী আসলে থামানোর জন্য সংকেত দিলে গাড়ীটি থামায়। প্রাইভেটকারের ভিতরে থাকা ধৃত ০২জন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্দেহজনক মনে হলে টহল দল কর্তৃক প্রাইভেট কারটি তল্লাশী করা হয়।
উক্ত প্রাইভেটকার তল্লাশী করলে গাড়ীর ডান পার্শ্বে থাকা ষ্টিয়ারিং এর সামনে মিটার গেজে ষ্টীলের বক্সের ভিতরে কসটেপ দিয়ে মুড়িয়ে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ৮ কেজি ১শ ৬৩ ওজনের মোট ৭০ পিস স্বর্ণের বার, ০৩টি মোবাইল ফোন এবং ০১ টি প্রাইভেট কারসহ মোঃ শফিকুল ইসলাম (২৯), পিতা-মৃত দেবেন মোড়ল, গ্রাম-পুটখালী, পোষ্ট-বালুন্ডা, থানা- বেনাপোল পোর্ট, জেলা-যশোর ও মোঃ হান্নান প্রধান, পিতা-মৃত রতন প্রধান, গ্রাম-বটদৈল, পোষ্ট- বটদৈল, থানা-কচুয়া, জেলা-চাঁদপুরকে আটক করা হয় এবং মোঃ ইয়াকুব আলী ব্যাকা (৩৪), পিতা-মোঃ আনারুল ইসলাম, গ্রাম-আমলা, পোষ্ট-গোগা, থানা-শার্শা, জেলা-যশোর দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ধৃত আসামীদ্বয় প্রাইভেটকারটির মধ্যে থাকা স্বর্ণের বারগুলো কায়বা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচার করতে চেয়েছিল। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, গত ২০২২ সাল হতে খুলনা ব্যাটালিয়নের দায়িত্বাধীন সীমান্ত এলাকা হতে মোট ২২ (একুশ) বারে ২৩ জন আসামীসহ সর্বমোট ৬৫ কেজি ৭০০ গ্রাম স্বর্ণ আটক করা হয়েছে, যার মূল্য ৫০ কোটি টাকা।
বাইশ বারের মধ্যে আগস্ট-২০২২ মাসে ০৪ (চার) বার, সেপ্টেম্বর-২০২২ মাসে ০৬ (ছয়) বার, অক্টোবর-২০২২ মাসে ০২ (দুই) বার, নভেম্বর মাসে ০৩ (তিন) বার, ডিসেম্বর মাসে ০১ (এক) বার এবং ২০২৩ সালে চলতি মাসে ০৪ (চার) বার স্বর্ণ আটক করা হয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধে খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) সর্বদা তৎপর রয়েছে।