হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ সময়মতো শুরু না করার প্রতিবাদে এবং নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার দাবিতে মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, ১৫ ডিসেম্বর হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ২৩ ডিসেম্বর এসে পাউবো ও জেলা প্রশাসন বিভিন্ন বাঁধের কাজ উদ্বোধন করে সুনামগঞ্জের কৃষদের সাথে নাটক করছেন।
সঠিক সময়ে বাঁধের কাজ শেষ না হলে এবার কৃষকদের সাথে নিয়ে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজের সাথে জড়িত সবাইকে প্রতিহত করা হবে। তারা অভিযোগ করে বলেন, বৃষ্টি শুরু না হওয়ায় বাঁধের কাজ শুরু হচ্ছে না। একদিকে যে সব হাওরে বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে তাও ধীর গতিতে চলছে। এভাবে বাধ নির্মাণ করলে ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ হবে না।
এছাড়া হাওরের ফসল রক্ষা করতে অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত বাধ ও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ লুটপাট করা পায়তারা চলছে। লুটপাটের আলামত হিসেবে গত বছরের এক পিআইসিকে এবার দুই পিআইসি করে ডাবল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠনে এমপিরা হস্থক্ষেপ করছেন। বক্তারা বলেন, হাওর ডুবির পর যারা হেলিকপ্টার নিয়ে হাওরে চক্করদেন, বাঁধে এসে পিকনিক করেন তাদেরকে কেন বাঁধের কাজ শুরু হচ্ছেনা তা এসে দেখার আহ্বান জানান। সাথে সাথে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয় এবার হাওর ডুবি হলে কেউ যদি বাঁধে পিকনিক করতে আসেন, কৃষকের সামনে মায়া কান্না দেখান কৃষকদের সাথে নিয়ে তাদের হাওরে ডুবানো হবে। বক্তারা সকল বাঁধের কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানান।
সোমবার সকাল ১১ টায় হাওর বাঁচাও আন্দোল সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত বহলুল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায় সুনামগঞ্জের ট্রাফিক পয়েন্ট অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা, দপ্তর সম্পাদক দুলাল মিয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, জেলা কমিটির সহসভাপতি আলী হায়দার, সাবেক সাংহঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ নুর আহমেদ, প্রভাষক মামুন আহমেদ প্রমূখ।