ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবির শিবির সভাপতি ও সেক্রেটারি সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া গেল ইসকন বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এসেছেন সারজিস-হাসনাত হজ্জ ব্যবস্থাপনা ২০২৫ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নাটোরে বড়াইগ্রাম আ’লীগ কর্মীর বাড়িতে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রিজভী কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির হাতে কোটি টাকার ইয়াবা আটক কুমিল্লায় জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রশিবিরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঢাকা উত্তরের ট্যাক্স সুপারভাইজার যেভাবে ফ্ল্যাট মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেন— তার একটি ঘটনা বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন ছাত্র জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে যে বার্তা দিলেন মাহফুজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি আইনজীবীদের

সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন অতঃপর নিয়োগ বানিজ্য করার পাঁয়তারা

  • গোলাম আজম, রংপুর
  • আপডেট সময় ০২:৪৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১নং খোড়াগাছ ইউনিয়নের মৌলভীগন্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব,মোঃ মোকতারুল ইসলাম কোন প্রকার বিধিমালা না মেনেই,উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করার পাঁয়তারা করছে।অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত ২৭/১০/২০২২ ইং তারিখে মৃত্যু ব্যক্তিদ্বয় কে ভোটার তালিকায় রেখে(অনুসন্ধানে আরোও দেখা গেছে,ভোট হয় ২৭/১০/২০২২ইং তারিখে আর প্রধান শিক্ষকের সহি স্বাক্ষর করা ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় ২৪/১০/২০২২ইং তারিখে)একটি ভুয়া ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে ও স্হায়ী দাতা সদস্যকে বাদ দিয়ে,বহিরাগত অস্হায়ী দাতা সদস্য দেখিয়ে, একটি লোক দেখানো নির্বাচন করে,তড়িঘড়ি করে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব,আসাদুজ্জামান আসাদ কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করেন।

বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টানের কমিটি গঠন প্রবিধিমালা ২০০৯ এর (৮)নং ক্রমিকে ৩নং ধারায় সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে,কোন ব্যক্তি দুয়ের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্টানের সভাপতি পদে সভাপতি হতে পারবেন না।কিন্তু উক্ত ব্যক্তি আগেই ৩টি প্রতিষ্টানের সভাপতি পদে যুক্ত আছেন।এ নিয়ে ৪টি প্রতিষ্টানের সভাপতি পদে যুক্ত হলেন। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে তার প্রতিষ্টানে গেলে, তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে,এর আগেও উক্ত ব্যক্তি,অত্র প্রতিষ্ঠানের পুনাঙ্গ কমিটির সভাপতি হিসেবে একবার যুক্ত ছিলেন এবং এডহক কমিটিতেও ৪বার সভাপতি হিসেবে যুক্ত ছিলেন।

এ নিয়ে এলাকাবাসী ও অত্র প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন,কেন তাকে বারবার এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে হবে?আর প্রধান শিক্ষক কোন ক্ষমতার বলে উক্ত ব্যক্তিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করলেন? অত্র এলাকার,রবিউল ইসলাম নামের একজন অভিভাবক,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে,শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ২১/১২/২০২২ইং তারিখে রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয় কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে,তিনি বলেন,অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে।

এ নিয়ে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে,দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেছেন,সামনে বিদ্যালয়ে নিয়োগ আছে ৪টি।তাই,প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার লোককে সভাপতি না করে অন্য এলাকার লোককে নিয়ে এসে সভাপতি বানিয়ে,তারা একত্রে যোগসাজোশে লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করার পাঁয়তারা করছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,এলাকাবাসী এই প্রতিবেদক কে আরো জানিয়েছেন,তারা অনেক আগেই তাদের পছন্দসই প্রতিটি চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে অগ্রীম নিয়ে থাকতে পারে।তাই এতো তড়িঘড়ি। এতে করে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হবে বলেও আশংকা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসীরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবির শিবির সভাপতি ও সেক্রেটারি সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া গেল ইসকন বিরোধী আন্দোলনে

সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন অতঃপর নিয়োগ বানিজ্য করার পাঁয়তারা

আপডেট সময় ০২:৪৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১নং খোড়াগাছ ইউনিয়নের মৌলভীগন্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব,মোঃ মোকতারুল ইসলাম কোন প্রকার বিধিমালা না মেনেই,উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করার পাঁয়তারা করছে।অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত ২৭/১০/২০২২ ইং তারিখে মৃত্যু ব্যক্তিদ্বয় কে ভোটার তালিকায় রেখে(অনুসন্ধানে আরোও দেখা গেছে,ভোট হয় ২৭/১০/২০২২ইং তারিখে আর প্রধান শিক্ষকের সহি স্বাক্ষর করা ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় ২৪/১০/২০২২ইং তারিখে)একটি ভুয়া ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে ও স্হায়ী দাতা সদস্যকে বাদ দিয়ে,বহিরাগত অস্হায়ী দাতা সদস্য দেখিয়ে, একটি লোক দেখানো নির্বাচন করে,তড়িঘড়ি করে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব,আসাদুজ্জামান আসাদ কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করেন।

বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টানের কমিটি গঠন প্রবিধিমালা ২০০৯ এর (৮)নং ক্রমিকে ৩নং ধারায় সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে,কোন ব্যক্তি দুয়ের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্টানের সভাপতি পদে সভাপতি হতে পারবেন না।কিন্তু উক্ত ব্যক্তি আগেই ৩টি প্রতিষ্টানের সভাপতি পদে যুক্ত আছেন।এ নিয়ে ৪টি প্রতিষ্টানের সভাপতি পদে যুক্ত হলেন। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে তার প্রতিষ্টানে গেলে, তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে,এর আগেও উক্ত ব্যক্তি,অত্র প্রতিষ্ঠানের পুনাঙ্গ কমিটির সভাপতি হিসেবে একবার যুক্ত ছিলেন এবং এডহক কমিটিতেও ৪বার সভাপতি হিসেবে যুক্ত ছিলেন।

এ নিয়ে এলাকাবাসী ও অত্র প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন,কেন তাকে বারবার এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে হবে?আর প্রধান শিক্ষক কোন ক্ষমতার বলে উক্ত ব্যক্তিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করলেন? অত্র এলাকার,রবিউল ইসলাম নামের একজন অভিভাবক,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে,শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ২১/১২/২০২২ইং তারিখে রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয় কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে,তিনি বলেন,অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে।

এ নিয়ে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে,দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেছেন,সামনে বিদ্যালয়ে নিয়োগ আছে ৪টি।তাই,প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার লোককে সভাপতি না করে অন্য এলাকার লোককে নিয়ে এসে সভাপতি বানিয়ে,তারা একত্রে যোগসাজোশে লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করার পাঁয়তারা করছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,এলাকাবাসী এই প্রতিবেদক কে আরো জানিয়েছেন,তারা অনেক আগেই তাদের পছন্দসই প্রতিটি চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে অগ্রীম নিয়ে থাকতে পারে।তাই এতো তড়িঘড়ি। এতে করে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হবে বলেও আশংকা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসীরা।