ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ডিম পেড়েছে উঠপাখি

কক্সবাজারের ডুলহাজারা সাফারি পার্কে প্রথম বারের মতো ডিম পেড়েছে উটপাখি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে পার্কের নিজ বেষ্টনীতে ডিম পাড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে চারটি উটপাখি আনা হয়।

এই চারটি উটপাখির মধ্যে দুটি পুরুষ এবং দুটি স্ত্রী প্রজাতির উটপাখি। এর মধ্যে থেকে একটি স্ত্রী উটপাখি গতকাল ভোরের দিকে নির্দিষ্ট বেষ্টনীতে ডিম পাড়ে। এই পার্কে এবারেই প্রথম উটপাখি ডিম পেড়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছি উটপাখি দম্পতিদের। জানা গেছে, উটপাখি সাধারণত বছরে একবার ডিম পাড়ে। এরা এক সাথে ২০ থেকে ১০০টি পর্যন্ত ডিম পাড়তে সক্ষম। একটা উটপাখির ওজন ১৩০ থেকে ১৫০ কেজি পর্যন্ত হয় এবং উচ্চতায় প্রায় ৭ থেকে ৯ ফিট পর্যন্ত হয়ে থাকে । আর এরা পাখা মেললে সর্বোচ্চ ৭ ফিট পর্যন্ত হয়। উটপাখির ডিমের ওজন ১ থেকে ২ কেজি পর্যন্ত হয়। অন্য কোনো প্রাণীর ডিম এত বড় হয় না। উটপাখির পাখা থাকলেও এরা উড়তে অক্ষম। তবে দৌড়াতে পারে। এরা ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়াতে সক্ষম। এদের চোখ বড় হওয়ায় অনেক দূর থেকে দেখতে পায়। উটপাখি ২ থেকে ৪ বছর বয়সে যৌন পরিপক্বতা লাভ করে। এরা ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত উৎপাদন ক্ষমতা রাখে।

উটপাখি ৮০ থেকে ১শ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহুরুল ইসলাম দৈনিক বাংলা কে বলেন, উটপাখি সাধারণত আফ্রিকান এলাকায় বেশি দেখা যায়। গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে উটপাখিরা এই পার্কের আসার পর পরিবেশের সাথে খুব মানিয়ে গেছে। যে কারণে তারা যৌন মিলন করছে। এদের প্রতিদিন তিন বেলা করে খাবার সরবরাহ করা হয়। খাবারের মধ্যে তাদের ঘাস, গাজর, বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং ভুসি খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। কক্সবাজার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা. হাতেম সাজ্জাদ মো. জুরকার নাইন বলেন, উটপাখি বিশেষ করে শীত মৌসুমে ডিম পাড়ে। এরা একবারে ২০ থেকে ১০০টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। এসব ডিমের মধ্য থেকে আবার কিছু ডিম নষ্ট হয়ে যায়। একটা ডিম থেকে বাচ্চা হতে ৪০ দিনের বেশি সময় লাগে। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত উটপাখি একটা ডিম পেড়েছে। আরও ডিম পাড়বে। স্ত্রী উটপাখি ডিম দেওয়ার পর তার ডিমে তা দেওয়া শুরু করে। পুরুষ আর স্ত্রী উটপাখি বাবা-মা হিসেবে সমান অধিকারের জন্য পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দেয়। স্ত্রী উটপাখি দিনে তা দিলে, পুরুষ উটপাখি রাতে ডিমে তা দেয়। আগামী দুই মাসের মধ্যে উটপাখির বাচ্চার সংখ্যা জানা যাবে

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ডিম পেড়েছে উঠপাখি

আপডেট সময় ১১:৪০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

কক্সবাজারের ডুলহাজারা সাফারি পার্কে প্রথম বারের মতো ডিম পেড়েছে উটপাখি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে পার্কের নিজ বেষ্টনীতে ডিম পাড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে চারটি উটপাখি আনা হয়।

এই চারটি উটপাখির মধ্যে দুটি পুরুষ এবং দুটি স্ত্রী প্রজাতির উটপাখি। এর মধ্যে থেকে একটি স্ত্রী উটপাখি গতকাল ভোরের দিকে নির্দিষ্ট বেষ্টনীতে ডিম পাড়ে। এই পার্কে এবারেই প্রথম উটপাখি ডিম পেড়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছি উটপাখি দম্পতিদের। জানা গেছে, উটপাখি সাধারণত বছরে একবার ডিম পাড়ে। এরা এক সাথে ২০ থেকে ১০০টি পর্যন্ত ডিম পাড়তে সক্ষম। একটা উটপাখির ওজন ১৩০ থেকে ১৫০ কেজি পর্যন্ত হয় এবং উচ্চতায় প্রায় ৭ থেকে ৯ ফিট পর্যন্ত হয়ে থাকে । আর এরা পাখা মেললে সর্বোচ্চ ৭ ফিট পর্যন্ত হয়। উটপাখির ডিমের ওজন ১ থেকে ২ কেজি পর্যন্ত হয়। অন্য কোনো প্রাণীর ডিম এত বড় হয় না। উটপাখির পাখা থাকলেও এরা উড়তে অক্ষম। তবে দৌড়াতে পারে। এরা ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়াতে সক্ষম। এদের চোখ বড় হওয়ায় অনেক দূর থেকে দেখতে পায়। উটপাখি ২ থেকে ৪ বছর বয়সে যৌন পরিপক্বতা লাভ করে। এরা ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত উৎপাদন ক্ষমতা রাখে।

উটপাখি ৮০ থেকে ১শ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহুরুল ইসলাম দৈনিক বাংলা কে বলেন, উটপাখি সাধারণত আফ্রিকান এলাকায় বেশি দেখা যায়। গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে উটপাখিরা এই পার্কের আসার পর পরিবেশের সাথে খুব মানিয়ে গেছে। যে কারণে তারা যৌন মিলন করছে। এদের প্রতিদিন তিন বেলা করে খাবার সরবরাহ করা হয়। খাবারের মধ্যে তাদের ঘাস, গাজর, বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং ভুসি খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। কক্সবাজার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা. হাতেম সাজ্জাদ মো. জুরকার নাইন বলেন, উটপাখি বিশেষ করে শীত মৌসুমে ডিম পাড়ে। এরা একবারে ২০ থেকে ১০০টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। এসব ডিমের মধ্য থেকে আবার কিছু ডিম নষ্ট হয়ে যায়। একটা ডিম থেকে বাচ্চা হতে ৪০ দিনের বেশি সময় লাগে। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত উটপাখি একটা ডিম পেড়েছে। আরও ডিম পাড়বে। স্ত্রী উটপাখি ডিম দেওয়ার পর তার ডিমে তা দেওয়া শুরু করে। পুরুষ আর স্ত্রী উটপাখি বাবা-মা হিসেবে সমান অধিকারের জন্য পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দেয়। স্ত্রী উটপাখি দিনে তা দিলে, পুরুষ উটপাখি রাতে ডিমে তা দেয়। আগামী দুই মাসের মধ্যে উটপাখির বাচ্চার সংখ্যা জানা যাবে