ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় ঘাতক স্বামী দেলোয়ার হোসেন মাহতাব (৪২) কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামি দেলোয়ার হোসেন মাহতাব করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের উত্তর চান্দপুর গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে নিহতের নাম প্রজ্ঞা মোস্তফা (২৬)। তিনি জেলার ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা গ্রামের মো. আহসান মোস্তফার মেয়ে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২১ মার্চ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তিন মাস আগে তাদের একটি কন্যাসন্তান জন্মলাভ করে। ঘটনার মাসখানেক আগে স্ত্রী প্রজ্ঞা মোস্তফার কাছে দেলোয়ার হোসেন মাহতাব ব্যবসা করার জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন এবং বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী মাহতাব স্ত্রী প্রজ্ঞার উপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেন।

এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল। এ পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের ২১ মার্চ সকালে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী প্রজ্ঞার সঙ্গে মাহতাবের কথা কাটাকাটি থেকে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে মাহতাব ক্ষিপ্ত হয়ে প্রজ্ঞাকে ঘরের মধ্যে ফেলে ছোরা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রজ্ঞা মারা গেলে তার লাশ ফেলে রেখে মাহতাব পালিয়ে যান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক দেলোয়ার হোসেন মাহতাবকে ওইদিনই আটক করে।এ ঘটনায় নিহত প্রজ্ঞা মোস্তফার পিতা মো. আহসান মোস্তফা বাদী হয়ে ওইদিনই করিমগঞ্জ থানায় দেলোয়ার হোসেন মাহতাবকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আদালতে দেলোয়ার হোসেন মাহতাবকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি এডভোকেট এম এ আফজল ও আসামিপক্ষের এডভোকেট মিয়া মো. ফেরদৌস মামলাটি পরিচালনা করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত

আপডেট সময় ০৬:১৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় ঘাতক স্বামী দেলোয়ার হোসেন মাহতাব (৪২) কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামি দেলোয়ার হোসেন মাহতাব করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের উত্তর চান্দপুর গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে নিহতের নাম প্রজ্ঞা মোস্তফা (২৬)। তিনি জেলার ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা গ্রামের মো. আহসান মোস্তফার মেয়ে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২১ মার্চ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তিন মাস আগে তাদের একটি কন্যাসন্তান জন্মলাভ করে। ঘটনার মাসখানেক আগে স্ত্রী প্রজ্ঞা মোস্তফার কাছে দেলোয়ার হোসেন মাহতাব ব্যবসা করার জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন এবং বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী মাহতাব স্ত্রী প্রজ্ঞার উপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেন।

এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল। এ পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের ২১ মার্চ সকালে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী প্রজ্ঞার সঙ্গে মাহতাবের কথা কাটাকাটি থেকে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে মাহতাব ক্ষিপ্ত হয়ে প্রজ্ঞাকে ঘরের মধ্যে ফেলে ছোরা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রজ্ঞা মারা গেলে তার লাশ ফেলে রেখে মাহতাব পালিয়ে যান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক দেলোয়ার হোসেন মাহতাবকে ওইদিনই আটক করে।এ ঘটনায় নিহত প্রজ্ঞা মোস্তফার পিতা মো. আহসান মোস্তফা বাদী হয়ে ওইদিনই করিমগঞ্জ থানায় দেলোয়ার হোসেন মাহতাবকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আদালতে দেলোয়ার হোসেন মাহতাবকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি এডভোকেট এম এ আফজল ও আসামিপক্ষের এডভোকেট মিয়া মো. ফেরদৌস মামলাটি পরিচালনা করেন।