কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার দূর্গাপুর নোয়াপাড়ায় মন্জুরুল নামে একজন যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে লাশ ডোবায় ফেলে দেয় অপর শ্রমিক। ঘটনাটি ১৩ জনিুয়ারির হলেও সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মধ্য রাতে নোয়াপাড়া এলাকার একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে বুড়িচং থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের রুমমেট মো. নাহিদকে (১৮) গ্রেফতার করেছে। রংপুরের বদরগঞ্জ থানার আলা মিয়ার ছেলে নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম(২৬) এবং গ্রেফতারকৃত নাহিদ(১৮) রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্র জানা যায়-নিহত মঞ্জুরুল স্থানীয় আক্তারের ফার্মে এবং নাহিদ দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তারা দুইজন উপজেলার দুর্গাপুরের নোয়াপাড়া এলাকায় একটি রুমে ভাড়া থাকতেন। গত কয়েকদিন আগে মঞ্জুরুলের ১ হাজার ৫০০ টাকা হারিয়ে যায়। এ টাকা নাহিদ নিয়েছেন বলে সন্দেহ হয় মঞ্জুরুলের। পরে বিষয়টি নিয়ে নাহিদের মা-বাবাসহ বিভিন্ন জনের কাছে বিচার দেওয়া হয়।
এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মঞ্জুরুলের মাথায় দা দিয়ে একাধিক কোপ দিয়ে হত্যা করে।পরবর্তীতে লাশ বস্তাবন্দি করে ফার্মের পাশের একটি ডোবায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়। বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, ঘটনার শুরু ১৩ জানুয়ারি,গতকাল বিকালে আমাদের কাছে জিডি নিয়ে আসেন নিহত মঞ্জুরুলের বড় ভাই।পরবর্তীতে আমরা তার রুমমেটক নাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি।তার কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে আমরা তাকে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিস্তারিত বলে। সে জানায়, চোর বলাতেই তাকে হত্যা করেছে। পরে লাশ ডোবায় ডুবিয়ে দিয়েছে। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা মঞ্জুরুলের লাশ উদ্ধার করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। উক্ত ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে ও হত্যাকারী নাহিদ পুলিশ হেফাজতে আছে।