ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানব পাচার মামলায় যশোরে ১ নারী আটক

  • জহিরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১১:২৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

যশোরে রেহানা আক্তার (৪৭) নামে এক নারীকে মানব পাচার মামলায় আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত্রে সদরের কচুয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

রেহানা কচুয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মানব পাচারের অভিযোগে একটি মামলা (২৯/১৪.০১.২৩) করেছেন। মামলায় আসামি রেহানা আক্তার (৪৭) ও তার মেয়ে রুম্পা খাতুন সহ (২৬) আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগি বাদী তার মামলার অভিযোগে বলেন, আমার বয়স যখন ৬ দিন তখন পারুল আক্তার আমার পালক মা আামাকে দত্তক নিয়ে মানুষ করে।

দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর ২০১৪ সালে সোহাগ নামে একটি ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। সেখানে আমার একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তারপর সোহাগ আমাকে তালাক দেয়। আমি আবার আমার পালক মায়ের কাছে ফিরে আসি। আসামিরা আমার পূর্বপরিচিত হওয়ায় আমাকে বৈধ ভাবে বিদেশ পাঠাবে বলে প্রলোভন দেখায়। এর মধ্যে আমার আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নেয়।

ঘটনার দিন গত বছর ২৭ নভেম্বর ২০২২ সকাল ১১ টার সময় রুপদিয়া থেকে বাসে করে ঢাকায় নিয়ে আসে। ৩০ নভেম্বর রাতে বিমানে করে আমাকে দুবাই নিয়ে একটি বাসায় তুলে সেখানে আমাকে ধর্ষণ করে। এর পরে হোটেলে নিয়ে জোর করে নিয়মিত আমাকে দিয়ে দেহ ব্যাবসা করাতো ২২ দিন পর সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে দুবাই পুলিশের সহোযোগিতায় দেশে ফিরে আসি।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় মানব পাচারের একটি মামলা দায়ের হয়েছে। একজন নারী আসামিকে আটক করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

মানব পাচার মামলায় যশোরে ১ নারী আটক

আপডেট সময় ১১:২৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

যশোরে রেহানা আক্তার (৪৭) নামে এক নারীকে মানব পাচার মামলায় আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত্রে সদরের কচুয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

রেহানা কচুয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মানব পাচারের অভিযোগে একটি মামলা (২৯/১৪.০১.২৩) করেছেন। মামলায় আসামি রেহানা আক্তার (৪৭) ও তার মেয়ে রুম্পা খাতুন সহ (২৬) আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগি বাদী তার মামলার অভিযোগে বলেন, আমার বয়স যখন ৬ দিন তখন পারুল আক্তার আমার পালক মা আামাকে দত্তক নিয়ে মানুষ করে।

দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর ২০১৪ সালে সোহাগ নামে একটি ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। সেখানে আমার একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তারপর সোহাগ আমাকে তালাক দেয়। আমি আবার আমার পালক মায়ের কাছে ফিরে আসি। আসামিরা আমার পূর্বপরিচিত হওয়ায় আমাকে বৈধ ভাবে বিদেশ পাঠাবে বলে প্রলোভন দেখায়। এর মধ্যে আমার আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নেয়।

ঘটনার দিন গত বছর ২৭ নভেম্বর ২০২২ সকাল ১১ টার সময় রুপদিয়া থেকে বাসে করে ঢাকায় নিয়ে আসে। ৩০ নভেম্বর রাতে বিমানে করে আমাকে দুবাই নিয়ে একটি বাসায় তুলে সেখানে আমাকে ধর্ষণ করে। এর পরে হোটেলে নিয়ে জোর করে নিয়মিত আমাকে দিয়ে দেহ ব্যাবসা করাতো ২২ দিন পর সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে দুবাই পুলিশের সহোযোগিতায় দেশে ফিরে আসি।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় মানব পাচারের একটি মামলা দায়ের হয়েছে। একজন নারী আসামিকে আটক করা হয়েছে।