ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোনো রকম দায়িত্ব পালন না করে নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছেন ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষাক বৃন্দ

কিশোরগঞ্জের জেলায় পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিয়ন কোদালিয়া গ্রামে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় নিয়মিত বেতন ভাতা ও প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির সরকারি বই নিলেও কয়েক বছর বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির সরকারি বই নিচ্ছেন উপজেলার কোদালিয়া চিলাকাড়া হোসাইনিয়া আহম্মাদিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসা। ২০১৮ সালের বার্ষিক পরিক্ষার পর থেকে নিয়মিত খোলা ও ক্লাস নেওয়া হয়না।

২০২০ সালের ১৮ই এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয় কোভিট-১৯ এর জন্য। তখন থেকেই আর কোন দিন খোলা হয়নি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। আজ বুধবার (১১ ই জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় সরেজমিনে মাদ্রাসা গিয়ে কোন শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীকে পাওয়া যায়নি কোদালিয়া চিলাকাড়া হোসাইনিয়া আহম্মাদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় সকল রুমের মাঝে তালাবদ্ধ। ক্লাস রুমের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দীর্ঘদিনের অব্যবহৃত ভাঙ্গা ব্ল্যাকবোর্ড, ভাঙ্গা চেয়ার টেবিল ও বেঞ্চ। স্হানীয়রা লোক জন জানান, আগে রাস্তার পাশে মসজিদ সংলগ্নে মাদ্রাসাটি ছিল, গতবছর স্হানান্তর হওয়ার পর থেকে কোন দিন কোন শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের দেখা যায় নি এখানে। এবছর একদিনও খোলা হয়নি মাদ্রাসা। দাতা সদস্য মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, মাদ্রাসা স্হানাস্তরের পরে গত ডিসেম্বরে একটা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবছরে ছাত্র সংগ্রহ করে নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হবে কিন্তু ছাত্র সংগ্রহ করা হয়নি। আর মাদ্রাসা খোলা হয়নি। বতমানে প্রতিষ্ঠানে হতে তিন জন শিক্ষাক সরকারী বেতন ভাতা নিচ্ছে তারা হলেন,মোশাররফ হোসেন, গোলেছা খাতুন, খাদিজা আক্তার প্রমুখ।

এ বিষয়ে কোদালিয়া চিলাকাড়া হোসাইনিয়া আহম্মাদিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন প্রথমে বেতন ভাতা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমরা আন্দোলন করে আমাদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করেন বেতন নেওয়ার কথা। এতোদিন মাদ্রাসা বন্ধ রাখার বিষয় টি এড়িয়ে গিয়ে আরো বলেন পরবর্তীতে মিটিং করে আমরা সিদ্ধান্ত নিব কিভাবে মাদ্রাসা চালানো যায়। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম বলেন, মাদ্রাসা স্হানাস্তরের পরে অসুস্থতার কারণে আমি আর খোঁজ খবর নিতে পারেন নি। তবে মাদ্রাসা বন্ধ থাকলেও মাদ্রাসার নামে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন কোদালিয়া চিলাকাড়া হোসাইনিয়া আহম্মাদিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজলিন শহীদ চৌধুরী জানান, বিষয় টি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কোনো রকম দায়িত্ব পালন না করে নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছেন ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষাক বৃন্দ

আপডেট সময় ০৫:০১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

কিশোরগঞ্জের জেলায় পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিয়ন কোদালিয়া গ্রামে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় নিয়মিত বেতন ভাতা ও প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির সরকারি বই নিলেও কয়েক বছর বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির সরকারি বই নিচ্ছেন উপজেলার কোদালিয়া চিলাকাড়া হোসাইনিয়া আহম্মাদিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসা। ২০১৮ সালের বার্ষিক পরিক্ষার পর থেকে নিয়মিত খোলা ও ক্লাস নেওয়া হয়না।

২০২০ সালের ১৮ই এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয় কোভিট-১৯ এর জন্য। তখন থেকেই আর কোন দিন খোলা হয়নি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। আজ বুধবার (১১ ই জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় সরেজমিনে মাদ্রাসা গিয়ে কোন শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীকে পাওয়া যায়নি কোদালিয়া চিলাকাড়া হোসাইনিয়া আহম্মাদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় সকল রুমের মাঝে তালাবদ্ধ। ক্লাস রুমের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দীর্ঘদিনের অব্যবহৃত ভাঙ্গা ব্ল্যাকবোর্ড, ভাঙ্গা চেয়ার টেবিল ও বেঞ্চ। স্হানীয়রা লোক জন জানান, আগে রাস্তার পাশে মসজিদ সংলগ্নে মাদ্রাসাটি ছিল, গতবছর স্হানান্তর হওয়ার পর থেকে কোন দিন কোন শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের দেখা যায় নি এখানে। এবছর একদিনও খোলা হয়নি মাদ্রাসা। দাতা সদস্য মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, মাদ্রাসা স্হানাস্তরের পরে গত ডিসেম্বরে একটা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবছরে ছাত্র সংগ্রহ করে নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হবে কিন্তু ছাত্র সংগ্রহ করা হয়নি। আর মাদ্রাসা খোলা হয়নি। বতমানে প্রতিষ্ঠানে হতে তিন জন শিক্ষাক সরকারী বেতন ভাতা নিচ্ছে তারা হলেন,মোশাররফ হোসেন, গোলেছা খাতুন, খাদিজা আক্তার প্রমুখ।

এ বিষয়ে কোদালিয়া চিলাকাড়া হোসাইনিয়া আহম্মাদিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন প্রথমে বেতন ভাতা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমরা আন্দোলন করে আমাদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করেন বেতন নেওয়ার কথা। এতোদিন মাদ্রাসা বন্ধ রাখার বিষয় টি এড়িয়ে গিয়ে আরো বলেন পরবর্তীতে মিটিং করে আমরা সিদ্ধান্ত নিব কিভাবে মাদ্রাসা চালানো যায়। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম বলেন, মাদ্রাসা স্হানাস্তরের পরে অসুস্থতার কারণে আমি আর খোঁজ খবর নিতে পারেন নি। তবে মাদ্রাসা বন্ধ থাকলেও মাদ্রাসার নামে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন কোদালিয়া চিলাকাড়া হোসাইনিয়া আহম্মাদিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজলিন শহীদ চৌধুরী জানান, বিষয় টি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।