ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

ব্রাজিলে শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় দেশটিতে চলছে গণগ্রেপ্তার। আর এর মধ্যেই দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যেই ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের প্রধানকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাঙ্গাকারীরা রাজধানী ব্রাসিলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে হামলা চালানোর পর ব্রাজিলের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশের পর ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের সাবেক কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

ব্রাজিলের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস বলেছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্রাসিলিয়ার সাবেক জননিরাপত্তা প্রধান অ্যান্ডারসন টরেস-সহ এবং অন্যান্যরাও রয়েছেন। তবে টরেস দাঙ্গায় কোনও ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন। এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকরা কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালানোর পরে পুলিশ কমান্ডার কর্নেল ফাবিও অগাস্টোকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

এর আগে মঙ্গলবার ব্রাসিলিয়ার সাবেক জননিরাপত্তা প্রধান অ্যান্ডারসন টরেসের বিরুদ্ধে ‘কাঠামোগত নাশকতা অভিযান’ পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়। ব্রাসিলিয়াতে নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে নিযুক্ত রিকার্ডো ক্যাপেলি বলছেন, সরকারি ভবনেগুলোতে হামলার আগে টরেসের ‘কমান্ডের অভাব’ ছিল।

এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বিচার মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন অ্যান্ডারসন টরেস। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট লুলাও ব্রাসিলিয়ায় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ মোকাবিলার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের দায়িত্ব ‘অবহেলা’ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া দাঙ্গার জেরে জাইর বলসোনারোর সম্পদ জব্দ করার জন্য সরকারি আইনজীবীরা মঙ্গলবার দেশটির একটি ফেডারেল অডিট আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

ব্রাজিলের সদ্য সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ব্রাসিলিয়ায় দাঙ্গার নিন্দা করেছেন। অবশ্য গত বছরের অক্টোবরের নির্বাচনের পরাজয় এখনও স্বীকার করেননি তিনি। গত ১ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এরপর গত সোমবার বলসোনারো পেটে ব্যথা নিয়ে ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। বেশ কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার তিনি হাসপাতাল ছেড়েছেন।

বিবিসির দক্ষিণ আমেরিকা সংবাদদাতা কেটি ওয়াটসনের মতে, কিছু বিক্ষোভকারী শুধু বলসোনারো নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ নন – তারা চান প্রেসিডেন্ট লুলা কারাগারে ফিরে যাক। জাইর বলসোনারো গত অক্টোবরের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে খুব শান্ত হয়ে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে পরাজয় স্বীকার না করে, বলসোনারো তার সবচেয়ে কট্টর সমর্থকদের গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিয়ে ক্ষুব্ধ করে রেখেছিলেন।

সাবেক এই প্রেসিডেন্ট হামলার নিন্দা করেছেন এবং সহিংসতা শুরু হওয়ার ছয় ঘণ্টা পরে টুইটারে দেওয়া একটি পোস্টে দাঙ্গাকারীদের উৎসাহিত করার দায়ও অস্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার বলসোনারোর ছেলে এবং ব্রাজিলের সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো বলেছেন, তার বাবাকে দাঙ্গার সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করা উচিত নয়। কারণ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে নীরবে ‘কষ্ট পাচ্ছেন তিনি’।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

ব্রাজিলে শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

আপডেট সময় ০১:১৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় দেশটিতে চলছে গণগ্রেপ্তার। আর এর মধ্যেই দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যেই ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের প্রধানকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাঙ্গাকারীরা রাজধানী ব্রাসিলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে হামলা চালানোর পর ব্রাজিলের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশের পর ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের সাবেক কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

ব্রাজিলের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস বলেছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্রাসিলিয়ার সাবেক জননিরাপত্তা প্রধান অ্যান্ডারসন টরেস-সহ এবং অন্যান্যরাও রয়েছেন। তবে টরেস দাঙ্গায় কোনও ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন। এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকরা কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালানোর পরে পুলিশ কমান্ডার কর্নেল ফাবিও অগাস্টোকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

এর আগে মঙ্গলবার ব্রাসিলিয়ার সাবেক জননিরাপত্তা প্রধান অ্যান্ডারসন টরেসের বিরুদ্ধে ‘কাঠামোগত নাশকতা অভিযান’ পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়। ব্রাসিলিয়াতে নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে নিযুক্ত রিকার্ডো ক্যাপেলি বলছেন, সরকারি ভবনেগুলোতে হামলার আগে টরেসের ‘কমান্ডের অভাব’ ছিল।

এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বিচার মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন অ্যান্ডারসন টরেস। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট লুলাও ব্রাসিলিয়ায় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ মোকাবিলার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের দায়িত্ব ‘অবহেলা’ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া দাঙ্গার জেরে জাইর বলসোনারোর সম্পদ জব্দ করার জন্য সরকারি আইনজীবীরা মঙ্গলবার দেশটির একটি ফেডারেল অডিট আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

ব্রাজিলের সদ্য সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ব্রাসিলিয়ায় দাঙ্গার নিন্দা করেছেন। অবশ্য গত বছরের অক্টোবরের নির্বাচনের পরাজয় এখনও স্বীকার করেননি তিনি। গত ১ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এরপর গত সোমবার বলসোনারো পেটে ব্যথা নিয়ে ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। বেশ কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার তিনি হাসপাতাল ছেড়েছেন।

বিবিসির দক্ষিণ আমেরিকা সংবাদদাতা কেটি ওয়াটসনের মতে, কিছু বিক্ষোভকারী শুধু বলসোনারো নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ নন – তারা চান প্রেসিডেন্ট লুলা কারাগারে ফিরে যাক। জাইর বলসোনারো গত অক্টোবরের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে খুব শান্ত হয়ে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে পরাজয় স্বীকার না করে, বলসোনারো তার সবচেয়ে কট্টর সমর্থকদের গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিয়ে ক্ষুব্ধ করে রেখেছিলেন।

সাবেক এই প্রেসিডেন্ট হামলার নিন্দা করেছেন এবং সহিংসতা শুরু হওয়ার ছয় ঘণ্টা পরে টুইটারে দেওয়া একটি পোস্টে দাঙ্গাকারীদের উৎসাহিত করার দায়ও অস্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার বলসোনারোর ছেলে এবং ব্রাজিলের সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো বলেছেন, তার বাবাকে দাঙ্গার সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করা উচিত নয়। কারণ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে নীরবে ‘কষ্ট পাচ্ছেন তিনি’।