মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংর্ঘষে যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওন নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল।
সমাবেশে অংশ নিয়ে শাওনের বাবা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমি হতভাগ্য এ শাওনের (ছবি দেখিয়ে) বাবা। পুলিশ আমার ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। আবার আমার ছেলের নামে মামলা হয়। আপনারা দেখছেন, মৃত মানুষের নামে কীভাবে মামলা হয়? এটা কোন দেশের পুলিশ, আমার ছেলেরে গুলি করে মারল। আবার আমার ছেলের নামে মামলা দিল। আমি গরিব মানুষ। আমি আপনাদের কাছে বিচার চাই।’
সোহরাব হোসেন আরও বলেন, ‘আজ চার দিন হয়ে গেছে আমরা সন্তান তো আর ফেরে না। ঢাকা মেডিকেলে আমার সন্তানের রক্তে পুরো বিছানা ভরে গেছে। আমার সন্তান মুন্সিগঞ্জে গুলি খাওয়ার পরে সেখানে স্থানীয় সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে আধা ঘণ্টা কোনো চিকিৎসা হয়নি, আটকে রেখেছে। সেখানে যদি চিকিৎসা হতো তাহলে আমার সন্তান বেঁচে যেত। আমার সন্তানের জন্য আপনারা দোয়া করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমার এবং পরিবারের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। শাওনের ছোট সন্তানের সবকিছু তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়িতে সমস্যা। একজন আমাকে হুমকি দিচ্ছে আমার নামে নাকি মামলা করবে। আমি ভয়ে আছি। আমি আপনাদের বলি, এখন আমার নিরাপত্তা কে দেবে? সাংবাদিকরা আছেন, আপনারা আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন। আমি যেন নিরাপত্তা পাই, আমি যেন চলাফেরা করতে পারি, সেই ব্যবস্থা করে দেবেন।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) মুন্সীগঞ্জ মুক্তারপুর ব্রিজের পাশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ঢামেকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাওন।