ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গোয়াইনঘাটে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা সাদা পোশাকে গিয়ে কোনো আসামিকে গ্রেফতার নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপির ৩ সংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের হিসাব রক্ষক শেখ নাসির উদ্দিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আগামীকাল শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য সংগ্রহ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে , পৃথিবীর সবাইকে ক্ষমা করা গেলেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করা যাবে না এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু কৃষক দলের প্রতিষ্ঠা বাষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ২০২৫-২৬ সালের কমিটি গঠন সম্পন্ন। রাতের আঁধারে ভাঙচুর করে বাড়ি আসবাবপত্র ফেললো পুকুরে, বাড়ি ছাড়া পরিবার
ডিসি ওসি বরাবর বন্ধের অভিযোগ গেলেও তারা ব্যাবস্থা গ্রহন করছেন না।

হোটেল বলাকা জেনো দেহ ব্যাবসার কারখানা

রাজধানীর গাবতলীর চিহ্নিত আবাসিক হোটেলে বলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলছে দেহব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও পুলিশ বলছে এসবের তথ্য নেই তাদের কাছে।

তবে অনুসন্ধান বলছে ভিন্নকথা, গাবতলীর আবাসিক হোটেলে বলাকাই কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই। এই আবাসিক হোটেলে একজন নারীর সাথে রাত কাটাতে হলেও গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। বেশি অর্থ উপার্জনের লোভেই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে।

ঢাকার বেশীর ভাগ আবাসিক হোটেলগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে নারীর দেহ ব্যবসা। একবাক্যে হোটেলগুলোকে বলা যায় মিনি পতীতালয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেকেই হুঙ্কার দিয়ে জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। জানা যায়, দেহ ব্যবসার জন্য প্রতিমাসে প্রশাসনের কিছু অসৎ সদস্যদের বড় অংকে উৎকোচ দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে এই অনৈতিক কার্যকলাপ। আরও রয়েছে নামধারী সাংবাদিক, স্থানীয় নেতা ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশী দেহ ব্যবসার প্রসার ঘটেছে গাবতলী, মতিঝিল,ফার্মগেইট, মোহাম্মদপুর, গুলিস্থান, পল্টন, পুরান ঢাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে।

এদিকে গাবতলীর আবাসিক হোটেল বলাকার প্রতিটি রুমে বিভিন্ন সাজে মেয়েরা খদ্দেরের অপেক্ষায় রয়েছে। এখানে দুই শিফটে মেয়েরা দেহ ব্যাবসা করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খরিদদার আসছে। পতিতা-দের নিয়ে রাত্রি যাপনের জন্যেও রয়েছে নিরাপদ ব্যবস্থা। এসব অবৈধ কারবারিদের সাথে সখ্যতা রয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সন্ত্রাসীদের। ফলে এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোটেলের কয়েকজন কর্মচারী জানান, এসব হোটেলে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদক বেচাকেনা, জুয়া খেলা, সন্ত্রাসীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে রফাদফার মত কাজও চলছে। নিয়মানুযাী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও অভিযুক্ত হোটেল কতৃপক্ষ মানছে না এই নিয়ম। এছাড়াও কয়েকটি হোটেলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চলছে রমরমা মাদক বাণিজ্য। এ বিষয়ে দারুসসালাম থানার ওসি ও ডিসি বরাবর দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কতৃক একটি বন্ধের অভিযোগ গেলেও তারা ব্যাবস্থা গ্রহন করছেন না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গোয়াইনঘাটে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

ডিসি ওসি বরাবর বন্ধের অভিযোগ গেলেও তারা ব্যাবস্থা গ্রহন করছেন না।

হোটেল বলাকা জেনো দেহ ব্যাবসার কারখানা

আপডেট সময় ০৪:১৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাজধানীর গাবতলীর চিহ্নিত আবাসিক হোটেলে বলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলছে দেহব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও পুলিশ বলছে এসবের তথ্য নেই তাদের কাছে।

তবে অনুসন্ধান বলছে ভিন্নকথা, গাবতলীর আবাসিক হোটেলে বলাকাই কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই। এই আবাসিক হোটেলে একজন নারীর সাথে রাত কাটাতে হলেও গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। বেশি অর্থ উপার্জনের লোভেই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে।

ঢাকার বেশীর ভাগ আবাসিক হোটেলগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে নারীর দেহ ব্যবসা। একবাক্যে হোটেলগুলোকে বলা যায় মিনি পতীতালয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেকেই হুঙ্কার দিয়ে জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। জানা যায়, দেহ ব্যবসার জন্য প্রতিমাসে প্রশাসনের কিছু অসৎ সদস্যদের বড় অংকে উৎকোচ দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে এই অনৈতিক কার্যকলাপ। আরও রয়েছে নামধারী সাংবাদিক, স্থানীয় নেতা ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশী দেহ ব্যবসার প্রসার ঘটেছে গাবতলী, মতিঝিল,ফার্মগেইট, মোহাম্মদপুর, গুলিস্থান, পল্টন, পুরান ঢাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে।

এদিকে গাবতলীর আবাসিক হোটেল বলাকার প্রতিটি রুমে বিভিন্ন সাজে মেয়েরা খদ্দেরের অপেক্ষায় রয়েছে। এখানে দুই শিফটে মেয়েরা দেহ ব্যাবসা করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খরিদদার আসছে। পতিতা-দের নিয়ে রাত্রি যাপনের জন্যেও রয়েছে নিরাপদ ব্যবস্থা। এসব অবৈধ কারবারিদের সাথে সখ্যতা রয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সন্ত্রাসীদের। ফলে এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোটেলের কয়েকজন কর্মচারী জানান, এসব হোটেলে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদক বেচাকেনা, জুয়া খেলা, সন্ত্রাসীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে রফাদফার মত কাজও চলছে। নিয়মানুযাী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও অভিযুক্ত হোটেল কতৃপক্ষ মানছে না এই নিয়ম। এছাড়াও কয়েকটি হোটেলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চলছে রমরমা মাদক বাণিজ্য। এ বিষয়ে দারুসসালাম থানার ওসি ও ডিসি বরাবর দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কতৃক একটি বন্ধের অভিযোগ গেলেও তারা ব্যাবস্থা গ্রহন করছেন না।