ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনতা ব্যাংকের ২২২ কোটি টাকা ফেরত দিতে রন হককে নির্দেশ

জনতা ব্যাংক থেকে নেয়া ১০০ কোটি টাকার ঋণ শর্ত ভঙ্গ করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলায় সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের বড় ছেলে রন হক সিকদারকে ২২১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৫-এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।

জনতা ব্যাংকের অভিযোগ, ভবন নির্মাণ না করেই রন হক ঋণের অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন এবং এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেননি। এই ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের পাওনা এখন ২২২ কোটি টাকা।

জনতা ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে জেড এইচ সিকদার শপিং কমপ্লেক্সের জন্য আর অ্যান্ড আর হোল্ডিংসের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করা হয়। এর বাইরে রন হক সিকদারের মালিকানাধীন পাওয়ারপ্যাক মুতিয়ারা জামালপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেডের কাছে জনতা ব্যাংকের পাওনা রয়েছে আরও প্রায় ৯৪৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে জনতা ব্যাংকে রন হক সিকদারের মোট ঋণ প্রায় ১ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, মামলা দায়েরের তারিখ থেকে পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ১২ শতাংশ সুদসহ পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ না করলে ব্যাংক সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণ আদায় করতে পারবে।

জনতা ব্যাংক সূত্র জানায়, ঋণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার না করা, কাজের অগ্রগতি যাচাই না করেই শর্ত ভঙ্গ করে ঋণ ছাড় ও পরিশোধ না করার কারণে ব্যাংক মামলা করে।

রন হক সিকদার গত মার্চ থেকে এ মামলায় আদালতে হাজিরা দেননি এবং তার পক্ষে কোনো আইনজীবীও ছিলেন না। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনতা ব্যাংকের ২২২ কোটি টাকা ফেরত দিতে রন হককে নির্দেশ

আপডেট সময় ০৪:৩৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

জনতা ব্যাংক থেকে নেয়া ১০০ কোটি টাকার ঋণ শর্ত ভঙ্গ করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলায় সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের বড় ছেলে রন হক সিকদারকে ২২১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৫-এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।

জনতা ব্যাংকের অভিযোগ, ভবন নির্মাণ না করেই রন হক ঋণের অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন এবং এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেননি। এই ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের পাওনা এখন ২২২ কোটি টাকা।

জনতা ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে জেড এইচ সিকদার শপিং কমপ্লেক্সের জন্য আর অ্যান্ড আর হোল্ডিংসের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করা হয়। এর বাইরে রন হক সিকদারের মালিকানাধীন পাওয়ারপ্যাক মুতিয়ারা জামালপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেডের কাছে জনতা ব্যাংকের পাওনা রয়েছে আরও প্রায় ৯৪৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে জনতা ব্যাংকে রন হক সিকদারের মোট ঋণ প্রায় ১ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, মামলা দায়েরের তারিখ থেকে পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ১২ শতাংশ সুদসহ পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ না করলে ব্যাংক সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণ আদায় করতে পারবে।

জনতা ব্যাংক সূত্র জানায়, ঋণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার না করা, কাজের অগ্রগতি যাচাই না করেই শর্ত ভঙ্গ করে ঋণ ছাড় ও পরিশোধ না করার কারণে ব্যাংক মামলা করে।

রন হক সিকদার গত মার্চ থেকে এ মামলায় আদালতে হাজিরা দেননি এবং তার পক্ষে কোনো আইনজীবীও ছিলেন না। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।