নাটোর-৪ গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সন্মানিত ধর্ম বিষয়ক সহসম্পাদক এডভোকেট জন গমেজের সাথে একান্ত আলোচনায়-
এডভোকেট জন গমেজ “নাটোর-৪ গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামবাসীকে সালাম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমি প্রথমে আমাদের মহান নেতা, স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর উত্তম, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমি একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। শ্রদ্ধা নিবেদন করছি চব্বিশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতন আন্দোলনে নিহত বীর শহীদদেরসহ বিগত ১৫ বছর গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমি এডভোকেট জন গমেজ, আপনাদের সন্তান, ভাই, বন্ধু, সহযোদ্ধা ও স্বজন। বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের দিঘইর গ্রামে আমার জন্ম। দিঘইর গ্রামের মাটির রসে গরাগরি দিয়ে আমার শিশুকাল, শৈশব ও কৈশোর। দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস হাই স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম কৃতিত্বের সাথে পাশ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী। আমার স্ত্রী ব্র্যাক-ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র ডিরেক্টর। আমার মেয়ে ও ছেলে স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় পড়াশোনা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি উত্তরাধিকারসূত্রে বিএনপির রাজনীতি করছি। আমাদের পরিবার শুরুর বিএনপি এবং বিএনপিতে বাংলাদেশের প্রথম খ্রিস্টান পরিবার। বাবা চান্দু গমেজ জোনাইল ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। কাকা আন্তনি গমেজ (কান্দুইনা) জোনাইল ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। বড়ভাই ফ্রান্সিস গমেজ জোনাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক। বর্তমানে জোনাইল ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা ও বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সন্মানিত সদস্য। পরিবারের অনেকে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মী।”
এডভোকেট জন গমেজ বলেন, “মাননীয় বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এলাকায় প্রচারণায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ১৯৮১ সালে আমার সক্রিয় রাজনীতি শুরু। আইন পেশার পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরানের একজন সক্রিয় কর্মী এবং ঢাকা বার ইউনিটের সাবেক সহ-সভাপতি। ২০০৯ ও ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির মাননীয় চেয়ারপারসন দেশমাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক নির্বাচিত করেন। বিএনপিতে আমি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রথম ও একমাত্র কেন্দ্রীয় নেতা। আমি বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য। সামাজিক এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব, নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা রয়েছে।”
তিনি বলেন, “২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কারাবন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন থেকে শাহবাগ থানা পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে এবং ১১ নভেম্বর ৬০ দিন পর কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পাই। ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর দায়িত্ব পালন শেষে চেয়ারপারসন অফিস থেকে বের হলে গুলশান থানা পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে এবং ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি ৫০ দিন পর কাশিমপুর-১ কারাগার থেকে মুক্তি পাই। উত্তরা পশ্চিম থানায় ৭টি রাজনৈতিক মামলা। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নাটোর-৪: গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম আসন থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছি। মনোনয়নপত্র দাখিল করি এবং রির্টানিং কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত হয়।”
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সন্মানিত ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক এডভোকেট জন গমেজ বলেন, “আমাদের পরিবার নির্ভেজাল ও আর্দশিক বিএনপি পরিবার। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী চেতনা, সততা এবং দেশপ্রেম আমাদের আর্দশ। “মাদার অব ডেমোক্রেসি”, আপোসহীন নেত্রী, দেশমাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা। দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান আমাদের প্রিয় নেতা। আমাদের রাজনীতির মূল কেন্দ্র জিয়া পরিবার। আমরা জিয়া পরিবারকে ভালোবাসি। বিএনপি ও জিয়া পরিবার আমাদের শেষ ঠিকানা।”
তিনি বলেন, “ প্রিয় এলাকাবাসী, আপনারা দেখেছেন-এই গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন উন্নয়নে অবহেলিত ও বঞ্চিত। তাই আমার অগ্রাধিকার হবে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারী সমাজকে উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণদের অধিকার নিশ্চিত করা, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার এবং ব্যবসায়ীদের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের প্রতিটি রাস্তাঘাট, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় উন্নয়ন করা, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত এলাকা গড়া, এলাকার সবাইকে নিয়ে। শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ সমাজ গড়া।”
এডভোকেট জন গমেজ বলেন, “বিএনপি মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দল। আমি বিশ্বাস করি-গণতন্ত্র থাকলে উন্নয়ন হবে, ভোটাধিকার থাকলে নেতৃত্ব সঠিক হবে। ধানের শীষ গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক। আমি আপনাদের দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করছি।”
এসএম আয়নুল হক রাজশাহী ব্যুরো 























