১৬ ডিসেম্বর বীর বাঙালির বিজয়ের দিন। প্রতিবারের মতো এবারও আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক মানুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যথাযথ মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করবে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় শোভাযাত্রাসহ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্য রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৬টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ। সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জের ঐতিহাসিক টুঙ্গিপাড়ায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার, অধ্যাপক মেরিনা জাহান, পারভীন জামান কল্পনা, আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু এমপি, গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন এবং সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম অংশগ্রহণ করবেন।
১৭ ডিসেম্বর (শনিবার) দুপুর আড়াইটা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধানমন্ডি ৩২ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত বিজয় শোভাযাত্রা করবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে বিজয় শোভাযাত্রা আয়োজনের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর (রোববার) বেলা ১১টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনা সভায় দেশ বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।